সারবিনা খাতুন।
টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হল। জখম হয়েছে আরও এক ছাত্রী।
শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার জীবনপুর বাজার এলাকার বেড়াচাঁপা-পৃথিবা রোডে। পুলিশ জানায়, মৃত ছাত্রীর নাম সারবিনা খাতুন (১৬)। চৌরাশি হাইস্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার।
ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ হিসাবে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পাথর ও রাস্তা জুড়ে কাজ করা একটি গ্রিল কারখানাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় মানুষজন। ওই কারখানাটিতে তালা মেরে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। সারবিনার বাড়ির কাছে মির্জানগরের গোদার মোড় এলাকায় রাস্তার উপরে বেঞ্চ পেতে, বাঁশ ফেলে অবরোধও করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সারবিনা বাড়ি থেকে মাটিকুমড়া গ্রামে টিউশন পড়তে যায়। বেলা ১২টা নাগাদ বন্ধু মৌসুমি খাতুনের সঙ্গে সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিল। জীবনপুর বাজার এলাকায় ওই কারখানার সামনে আসতেই পিছন দিক থেকে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে দুই ছাত্রী। স্থানীয় মানুষ তাদের উদ্ধার করে নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে সারবিনাকে বারাসতে স্থানান্তরিত করা হয়। রাস্তায় মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
মেয়েটির বাবা দড়ি কলের শ্রমিক। মা তাজমিরা বিবি বলেন, ‘‘অভাবের সংসারেও তিন মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করতে চেয়েছিলাম। সারবিনা মেজো। সকালে পড়তে যাওয়ার সময়ে বলেছিলাম, সাবধানে ফিরিস। কিন্তু কী যে হয়ে গেল।’’
পুলিশ গাড়িটি আটক করে চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেছে। এরপরেই বিক্ষোভ ওঠে।