কড়া পদক্ষেপ হাবরা থানার

অল্পবয়সীর কাছে মদ বিক্রি করলে ফাঁপরে পড়বেন দোকান কর্মীও

একুশ বছরের নীচে কারও কাছে মদ বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পদক্ষেপ শুরু করল হাবরা থানার পুলিশ। সোমবার হাবরা শহর এলাকায় যে সব বার ও সরকার অনুমোদিত মদের দোকান আছে, তার মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫১
Share:

আলোচনায় পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

একুশ বছরের নীচে কারও কাছে মদ বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পদক্ষেপ শুরু করল হাবরা থানার পুলিশ।

Advertisement

সোমবার হাবরা শহর এলাকায় যে সব বার ও সরকার অনুমোদিত মদের দোকান আছে, তার মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১। একুশ বছরের নীচে কারও কাছে মদ বিক্রি করা যাবে না। ২। বার ও মদের দোকানে ওই মর্মে নোটিস ঝোলানো বাধ্যতামূলক। ৩। ওই নোটিস এমন ভাবে টাঙাতে হবে, যাতে স্পষ্ট ভাবে সকলের চোখে পড়ে ৪। মালিকদের তাদের বার ও দোকানের কর্মীদের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিতে হবে, তারা যেন অল্প বয়সীদের কাছে মদ বিক্রি না করেন।

ওই সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি মালিকদের আগেই দেওয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকায় অল্পবয়ীদের কাছে মদ বিক্রি নিয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে হাবরা থানার পক্ষ থেকে তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে। নোটিস অনুযায়ী সকলে পদক্ষেপ করছেনন কিনা, তা দেখা হয়েছে বুধবার।

Advertisement

হাবরা শহর এলাকায় বার ও অনুমোদিত মদের দোকানের সংখ্যা ৭টি। গোটা থানা এলাকায় সংখ্যাটা ৯। এ দিন বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলি মালিকেরা কার্যকর করেছেন কিনা, তা দেখতে থানার পক্ষ থেকে পুলিশের একটি দল সব ক’টি বার ও দোকানে যায়। মৈনাকবাবু বলেন, ‘‘মালিকদের বলে দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা যেন কর্মীদের সঠিক ভাবে জানিয়ে দেন, অল্পবয়সীদের কাছে কোনও ভাবেই যাতে তাঁরা মদ বিক্রি না করেন। সেই বার্তা কর্মীদের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছেছে কিনা, সেটা দেখতে যাওয়া হয়েছিল।’’ পুলিশ কর্তাদের মতে, কর্মীরা ঠিকঠাক কাজ করছেন কিনা, সেটা দেখা জরুরি। কারণ, মালিকদের ডেকে বৈঠক করা হলেও মালিকরা নিজে হাতে প্রায়শই নিজের হাতে দোকানের বিক্রিবাট্টা দেখেন না। সে কাজ করেন কর্মীরাই। ফলে তাঁদের সচেতন হওয়া জরুরি।

.

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুলিশের দলটি প্রতিটি বার ও দোকানে গিয়ে কর্মীদের আলাদা ভাবে বুঝিয়ে এসেছেন, তাঁরা যেন অল্পবয়সীদের কাছে মদ বিক্রি না করেন। কর্মীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, যদি অল্পবয়সীর কাছে মদ বিক্রি করা হয় এবং সেই মদ খেয়ে যদি সেই নাবালকেরা কোনও দুষ্কর্ম করে, তা হলে জানতে পারলে সংশ্লিষ্ট দোকানের সেই কর্মীদের বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ করা হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে হাবরা থানার পুলিশ বাণীপুর মেলা ও শহর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মদ্যপ অবস্থা বেশ কিছু অল্পবয়সী ছেলেকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছিল, তারা অনুমোদিত দোকান থেকেই মদ কিনেছিল।

কিন্তু এ তো গেল বার ও অনুমোদিত দোকানের বিষয়। কিন্তু এর বাইরেও গোটা থানা এলাকার বিভিন্ন বাজারে মুদির দোকান, মনোহারি দোকান, চায়ের দোকান বা বাড়িতে গোপনে দেশি-বিদেশি মদ বা চোলাই বিক্রি হচ্ছে। তার কী হবে?

পুলিশ জানিয়েছে চোলাই ও বাংলা মদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে। কোনও দোকানে যাতে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি না হয়, সে জন্য স্থানীয় ‘সোর্স’ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মৈনাকবাবু বলেন, ‘‘অল্পবয়সীদের কাছে মদ বিক্রি বন্ধ করতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement