টহল: তখনও চলছে। জয়নগরে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
বিসর্জনে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধল জয়নগরের ময়দা এলাকায়। পুলিশকে মারধর করল পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়িও।
মারধরে সাত পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এক সাব ইন্সপেক্টার বাইপাসের ধারে বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালাতে হয়েছে পুলিশকে। এই ঘটনায় আট জন গ্রেফতার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ময়দা যুবক সঙ্ঘের পুজোর বিসর্জন ছিল। বিসর্জনের আগে তারস্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে উদ্দাম নাচ শুরু করে বেশ কিছু যুবক যুবতী বলে অভিযোগ। সাউন্ড বক্সের আওয়াজে বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ প্রতিবাদ করতে এলে ওই যুবক-যুবতীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জয়নগর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে বক্সের শব্দ কমাতে বলে। কিন্তু উদ্যোক্তাদের তরফে সেই অনুরোধ রাখা হয়নি। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা।
পুলিশ জানিয়েছে, এরই মধ্যে পুলিশকে আক্রমণ করে উদ্যোক্তাদের একাংশ। লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে। ক্লাবঘরে আটকে রেখে পুলিশকর্মীকে মারা হয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে ফেলে দেওয়া হয় পাশের একটি পুকুরে। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
বারুইপুরের এসডিপিও অভিষেক মজুমদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তৎপরতায় প্রতিমা ফেলেই পালায় উদ্যোক্তারা। পরে পুলিশই স্থানীয় একটি জলাশয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে পুজো বা বিসর্জনে এ বার ডিজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জয়নগর থানার তরফে পুজোর আগেই জোরে মাইক চালানোর ব্যাপারে সতর্ক করা হয় প্রতিটি পুজো কমিটিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, এরপরেও জোরে বক্স বাজানোর অভিযোগ ওঠায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয় তারা। ক্লাবের এক সদস্যের কথায়, ‘‘কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে তখন একসঙ্গে নাচছে। পুলিশ এসে আওয়াজ কমাতে বলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠিচার্জ শুরু হয়।’’ প্যান্ডেল, ক্লাবে পুলিশ নির্বিচারে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সদস্যদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশির নামে বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের খোঁজে ফের তল্লাশি হবে ওই এলাকায়।