—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সাতসকালে বরাহনগর এলাকায় চলল গুলি। এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় গুলিটি। তবে বারুদ গায়ে পড়ে আহত হন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থলে রয়েছে বরাহনগর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম বিকাশ মজুমদার। বরাহনগর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নর্দান পার্ক এলাকার বাসিন্দা। পেশায় সরকারি কর্মী। রোজকার মতো আর্বজনা ফেলতে বেরিয়েছিলেন সকালে। আর্বজনা ফেলে ফেরার পথে আচমকাই দুই দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিকাশের কথায়, ‘‘আবর্জনা ফেলে যখন ফিরছিলাম, তখন দেখি আমার পাশ দিয়ে দু’জন বাইকে চেপে যান। তার পরে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমি মাথাটা নিচু করে নিয়েছিলাম। তাই গায়ে গুলি লাগেনি। তবে বারুদ ছিটকে লেগে আহত হয়েছি।’’
কে বা কারা তাঁকে খুন করতে গুলি চালালেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিকাশ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে কারও কোনও বিবাদ নেই।’’ এলাকায় খুবই পরিচিত তিনি। সকলেই একবাক্যে জানাচ্ছেন, বিকাশের মতো শান্তিপ্রিয় মানুষ দ্বিতীয় হয় না। কারও সঙ্গে কখনও কোনও বিবাদে জড়াতেন না। নিজের চাকরি এবং পরিবার নিয়েই থাকতেন। সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর। সেই মানুষকে কে গুলি করে খুন করতে চাইছেন তা কল্পনাও করতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা শেখর দাস মনে করেন, কেউ দুষ্কৃতীদের ভাড়া করেছিলেন গুলি চালানোর জন্য। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, দুষ্কৃতীরা ভুল করে বিকাশকে লক্ষ্য গুলি চালায়।
এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস কর বলেন, ‘‘এটা শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানে আগে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সকালে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে খারাপ লাগল। তাঁর (বিকাশ) কোনও শত্রু নেই। ওই গুলি তাঁর গায়ে লাগতে পারত। আমরা চাই, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।’’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। তবে সকালের এই গুলিকাণ্ডের কারণে থমথমে এলাকা।