জল-ছবি বদলায় না সোদপুরে

বসার ঘর-শোয়ার ঘর-হেঁশেল, সর্বত্র নোংরা জল। বর্তমানে পানিহাটি পুরসভায় কোনও নির্বাচিত বোর্ড নেই। ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসকই প্রশাসক হিসেবে পুরসভা চালাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বৃষ্টি থেমে গিয়েছে শনিবার বিকেলের পরে। কিন্তু সোদপুরের রামচন্দ্রপুর রবিবার রাতেও জল থই থই।

Advertisement

এই সমস্যা শুধু এ বারের নয়। সোদপুরের ৬ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফি বর্ষায় এমন জল-ছবি এলাকার রোজনামচা। তাঁদের দাবি, আগে জমা জল রেললাইনের অন্য দিক দিয়ে নেমে যেত। কিন্তু অভিযোগ, রেললাইন ঘেঁষে অবৈধ নির্মাণের জন্য সেই জল এখন আর বেরোতে পারছে না। আরও অভিযোগ, প্রশাসনিক মহলে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি। বেশি বৃষ্টি হলে জল ঢুকে যাচ্ছে বাড়িতেও। সেই জল নামতে সপ্তাহ কাবার হয়ে যাচ্ছে।

যেমনটা হয়েছে গত দু’দিনের বৃষ্টিতে। বসার ঘর-শোয়ার ঘর-হেঁশেল, সর্বত্র নোংরা জল। বর্তমানে পানিহাটি পুরসভায় কোনও নির্বাচিত বোর্ড নেই। ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসকই প্রশাসক হিসেবে পুরসভা চালাচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দারা তাঁর কাছে জমা জল নিয়ে নালিশ করেছেন।

Advertisement

মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, ‘‘জমা জল নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সমস্যা কিছুটা রয়েছে। পুরসভাকে জল বার করার কাজে নামানো হয়েছে।’’ অবৈধ নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকা থেকে এক জন ফোন করেছিলেন। আমি বিষয়টি পুর আধিকারিকদের বলেছি।’’

শ্যামসুন্দর বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ওই এলাকায় বাস করছেন। আগে এলাকায় ঘর-বাড়ি বিশেষ ছিল না। পরে অনেকে বাড়ি তৈরি করেন। বর্তমানে সেখানে অন্তত ৩৫০টি পরিবারের বাস। ফলে নিকাশির চাপ বেড়েছে। কমেছে ফাঁকা জমির পরিমাণ। জল জমার সমস্যা বেড়েছে।

বাসিন্দারা জানান, সমস্যার শুরু ১৩-১৪ বছর আগে। ওই এলাকায় রেললাইনের ধার ঘেঁষে অবৈধ নির্মাণের ফলে জল বেরোনোর পথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম দিকে অস্থায়ী কাঠামো থাকলেও পরে পাকা নির্মাণের ফলে সমস্যা জটিল আকার নেয়। যাঁরা পরে বাড়ি তৈরি করেছেন, নিচু এলাকা বলে তাঁরা মাটি ফেলে জমি উঁচু করে নিয়েছেন।

ফলে আগে যে জল নিচু জমিতে জমত, তা এখন বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। এবং, তা নামতে সময় নিচ্ছে। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সব বাসিন্দাদের। শুক্রবারের প্রবল বর্ষণেও এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শনিবারের বৃষ্টিতে সেই জমা জল ঢুকে পড়ে এলাকার বাড়িতে বাড়িতে। বৃষ্টি কমলেও জল না নামায় সমস্যায় পড়েছেন ওই সব বাড়ির লোকজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন