Man set on Fire

দক্ষিণ দমদমে যুবককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা! ‘অনুগামী’র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ওড়ালেন কাউন্সিলর

কাউন্সিলর মৃন্ময় দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও রং নেই। কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে সকলে মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এক বাইক থেকে অন্য বাইকে তেল ভরার সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২৯
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

দক্ষিণ দমদমের তারকনাথ কলোনিতে এক যুবককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। স্থানীয়দের দাবি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ‘ঘনিষ্ঠ’ সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুশান্ত দাস এবং তাঁর সহকারীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। রঞ্জিত কর্মকার নামে ওই যুবকের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নাগেরবাজার পুলিশ। কাউন্সিলর মৃন্ময় দাস যদিও জানিয়েছেন, এখানে রাজনীতির কোনও রং নেই। কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে সকলে মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এক বাইক থেকে অন্য বাইকে তেল ভরার সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

তারকনাথ কলোনির বাসিন্দাদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে কালী প্রতিমা নিরঞ্জন করে ফিরছিলেন কয়েক জন। সে সময় এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন রঞ্জিত। তাঁর শ্বশুরবাড়ি ওই এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সুমন, সুশান্ত-সহ কয়েক জন বাইক থেকে পেট্রল বার করে তাঁর গায়ে ঢেলে দেন। সিগারেট থেকে আগুন লেগে যায় বলে অভিযোগ।

রঞ্জিতের শাশুড়ি মনা দাস বলেন, ‘‘রাতে ঠাকুর নিরঞ্জন করতে গিয়েছিল সবাই। আমি ঘরে ছিলাম। ভোরবেলা শুনি কয়েক জন অশ্লীল ভাষায় মন্তব্য করছে। আমি ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি জামাই কাঁদছে। ওঁর পিঠ পুড়ে গিয়েছে। পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছে।’’ তারকনাথ কলোনির বাসিন্দা রাখি দাস সান্যাল বলেন, ‘‘আমি শুনলাম, বাগান বলে একটি ছেলে বান্ধবীর স্বামীকে পুড়িয়ে দিয়েছে। যারা করল, তাদের মধ্যে এক জন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কোনও শত্রুতার কারণে এ সব করেছে। বাগান বদমাশ। কাউন্সিলরের ডানহাত। সবাইকে হুমকি দেন।’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘ওরা দলকে বদনাম করছে। আমাদের নেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এ সব প্রশ্রয় দেন না।’’

Advertisement

দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃন্ময় রাজনীতির কথা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা (নির্যাতিত এবং অভিযুক্তেরা) এক সঙ্গে পুজো করেন। ভাসান দিয়ে ফেরার পথে, কার বাইকের তেল শেষ হয়ে গিয়েছে। এক বাইকের থেকে অন্য বাইকে তেল ভরার সময়ে সিগারেট খাচ্ছিলেন সব। মদ্যপ ছিলেন। বাইক থেকে পেট্রল ছিঁটে গিয়ে এক জনের পিঠে লেগে যায়। এই নিয়ে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘এই তারকনাথ কলোনির সকলে তৃণমূলের সমর্থক। রঞ্জিতের শ্বশুর শিবুদা (শিবু দাস) আমার সঙ্গে থাকেন। আমাদের দলের পোস্টার মারেন। এখানে রাজনীতির রং নেই। পাড়ার পুজোর বিষয় ভোর সাড়ে ৪টে কি হতে পারে সবাই জানেন। বাচ্চা ছেলেরা ভাসানে গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement