এই সেই হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র।
সরস্বতী পুজোর আগের দিন সকালে দেখা গিয়েছিল হোর্ডিং। পুজো মিটতেই বুধবার শ্রেয়া পাণ্ডের ছবি দেওয়া বেশ কিছু হোর্ডিং সরিয়ে ফেলা হল বসিরহাট শহরের পথঘাট থেকে। একে তো মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মেয়ে হঠাৎ করে বসিহাটে এসে সকলের ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠতে চাইছেন কেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা, তার উপরে রাতারাতি বেশ কিছু হোর্ডিং সরিয়ে ফেলল কারা, তা নিয়েও চলছে চর্চা। বেশ কিছু সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন সেরে, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে আলাপ পরিচয় সেরে, ধর্মীয় স্থানে ঘোরাফেরা করে পুজোর দিন শহরবাসীর মুখে মুখে ফিরেছে শ্রেয়ার নাম। কেন রাতারাতি তাঁর ছবি দেওয়া হোর্ডিংয়ে সেজে উঠল শহর, কেনই বা তিনি হঠাৎ পুজো উদ্বোধনে চলে এলেন বসিরহাটে, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল সকলের মধ্যে।
তা হলে কি বসিরহাট দক্ষিণে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন মন্ত্রী-তনয়া, এ প্রশ্নও দিনভর ঘোরাফেরা করেছে শহরবাসীর মুখে মুখে। নিজেকে ‘সমাজসেবী’ পরিচয় দিয়ে শ্রেয়া ইতিমধ্যে দাবি করেছেন, তিনি বসিরহাটের মানুষ। বসিরহাটের সঙ্গে তাঁর ‘নাড়ির টান।’ হাসনাবাদের চিমটা গ্রামে তাঁদের একশো বছরের বসতভিটে বলেও জানিয়ে গিয়েছেন তিনি। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু আবার বলেন, ‘‘আমি বসিরহাটের ছেলে হয়ে সুনামের সঙ্গে ফুটবল খেলে এত বড় হয়েছি। আমি বসিরহাটের মানুষের কাছের মানুষ।’’ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী শ্রেয়ার ছবি দেওয়া হোর্ডিংয়ে শহর সাজিয়েছিল। বিতর্ক দানা বাঁধায় সেগুলির অধিকাংশ কি রাতারাতি অন্য গোষ্ঠীর লোকজন খুলে ফেলল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শ্রেয়া-পর্ব নিয়ে দলের গোষ্ঠী বিভাজন আছে কিনা, না নিয়ে কিছু বলতে চাননি জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাকে প্রার্থী করা হবে, তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন।’’