চাই খেলার মাঠ, পথে নামল পড়ুয়া-শিক্ষক

এ বার মাঠ কিনতে অর্থ সংগ্রহের জন্য পথে নামল গাইঘাটার কয়া পির আবদুল সোবাহান হাইস্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। ১৯৭২ সালে স্কুলটি তৈরি হয়। ১৯৯৯ সালে সরকারি অনুমোদন পায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫১
Share:

সাহায্য: স্কুল পড়ুয়ারা সংগ্রহ করছে টাকা। নিজস্ব চিত্র

চাহিদাটা আহামরি কিছু নয়। স্কুলের ছেলেমেয়েরা চায় একটি খেলার মাঠ। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই দাবিতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্তাদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। যদিও আজও স্কুল মাঠের সুরাহা হয়নি।

Advertisement

এ বার মাঠ কিনতে অর্থ সংগ্রহের জন্য পথে নামল গাইঘাটার কয়া পির আবদুল সোবাহান হাইস্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। ১৯৭২ সালে স্কুলটি তৈরি হয়। ১৯৯৯ সালে সরকারি অনুমোদন পায়। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চলে। পড়ুয়ার সংখ্যা দু’শো। পড়ুয়ারা বেশির ভাগ গরিব তফসিলি পরিবারের। রবিবার সকাল থেকে পাঁচটি টোটো নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে টাকা সংগ্রহের কাজ শুরু করল পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। ছিল মাইক প্রচারও। মাইকে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করে টাকা সাহায্যের আবেদন করা হচ্ছে। মানুষ স্বেচ্ছায় এসে সাধ্যমতো টাকাও দিচ্ছেন। টোটোতে টাঙানো ব্যানারে লেখা, ‘খেলার মাঠ ক্রয়কল্পে টাকা সংগ্রহ অভিযান।’ আরও একটি ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃদুলাল মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুল সংলগ্ন ১০ কাঠা জমি রয়েছে। সেটি কিনতে পারলে মাঠের সমস্যা মিটে যাবে। তার জন্য প্রয়োজন ১৩ লক্ষ টাকা। ওই টাকা সংগ্রহ করতে আমরা পথে নেমেছি।’’ পপি বারুই, সাধনা সিংহরা বলে, ‘‘স্কুলে ৬ কাঠা জমির উপর একটা ছোট মাঠ আছে। সেখানে খেলাধুলা করা যায় না। আমরা চাই বড় মাঠ।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছেলেমেয়েদের মেধার ও মানসিক বিকাশের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি শরীর চর্চার জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন রয়েছে। সে জন্যই মাঠটির প্রয়োজন। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘স্কুলের পরিকাঠামো উন্নতিতে আমরা অর্থ সাহায্য করতে পারি। তবে মাঠ কিনতে অর্থ দিতে পারি না। সরকারি নিয়ম নেই। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন