উজ্জ্বল: ছেলেমেয়েদের উদ্যোগ। নিজস্ব চিত্র
টিভির পর্দায় ও সংবাদপত্রের পাতায় তারা দেখেছিল, উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যার ছবি। মানুষের দুর্দশা নাড়া দেয়। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবে গাইঘাটার ঝাউডাঙা সম্মিলনী স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া। সেই মতো প্রধান শিক্ষকের জানায় সে কথা। স্কুল থেকে চাঁদা তোলার প্রস্তাব দেয়।
প্রধান শিক্ষক অনুপম সর্দার সকলকে উৎসাহ দেন। কাজে নেমে পড়ে রাহুল রায়, অর্পণ সিংহরায়েরা। পঞ্চশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছে তারা। বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীই দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা পরিবার থেকে আসে এই স্কুলে। প্রায় ৬০০ পড়ুয়া কেউ ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘মূলত টিফিন খরচ বাঁচিয়ে ওরা চাঁদা তুলেছে। খুচরো পয়সা আমি রেখে দিয়েছি।’’ শনিবার প্রধান শিক্ষক পড়ুয়াদের নিয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায়ের দফতরে আসেন। ১৭০০ টাকার একটি ড্রাফ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া জন্য।
এ বারই অবশ্য প্রথম নয়। স্কুলের পড়ুয়ারা কিছু দিন আগেই বনগাঁর কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠ স্কুলের এক পড়ুয়ার জন্যও টাকা তুলে দিয়েছিল। ওই ছাত্রের চোখে অ্যাসিড পড়ে প্রায় নষ্ট হতে বসেছিল চোখটি। অনুপমবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা যে ভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে, তাতে আমি গর্বিত।’’ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর কথায়, ‘‘এমন কাজ করতে আমাদেরও ভাল লাগে। সমাজের জন্য কিছু করতে পারছি বলে মনে হয়।’’