basanti

শিক্ষকের অভাবে প্রভাব পড়ছে জুনিয়র হাইস্কুলের পড়াশোনায়

২০২২ সালে এক জন শিক্ষিকা ‘উৎসশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে অন্য স্কুলে বদলি নিয়ে চলে যান। ফলে স্কুলে মাত্র এক জন সরকারি শিক্ষক থেকে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ০৯:০১
Share:

অব্যবস্থা: এক জন শিক্ষকই সামলাচ্ছেন গোটা স্কুল। নিজস্ব চিত্র

স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩২৮ জন। অন্তত আড়াইশোর বেশি প্রায় রোজই স্কুলে আসে। কিন্তু এলে কী হবে, ক্লাস হবে কী করে! শিক্ষক মাত্র এক জন।

Advertisement

২০০৯ সালে বাসন্তীর বড় কলাহাজরা প্রাথমিক স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছিল বড় কলাহাজরা জুনিয়র হাইস্কুল। এলাকার সরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে স্কুলটি শুরু হয়েছিল। পরে আরও দুই শিক্ষক স্কুলে যোগ দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে অতিথি শিক্ষকেরা চলে যেতে শুরু করেন। শুরু হয় সমস্যা।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামের কয়েক জন ছেলেমেয়েকে অনুরোধ করে স্কুল চালানোর ব্যবস্থাটুকু করা হয়। এ ভাবেই চলেছিল গত বছর পর্যন্ত।

Advertisement

২০২২ সালে এক জন শিক্ষিকা ‘উৎসশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে অন্য স্কুলে বদলি নিয়ে চলে যান। ফলে স্কুলে মাত্র এক জন সরকারি শিক্ষক থেকে যান। ভারপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক ধর্মেন্দ্র মণ্ডলই আপাতত সব সামলাচ্ছেন।

তিনি জানালেন, “গ্রামের জনা তিনেক ছেলেমেয়ে স্কুলে এসে কিছু ক্লাস নিয়ে সাহায্য করেন। এক জন চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষিকা রয়েছেন। তিনি কয়েকটি বিষয় পড়ান। তবে অনেক সময়েই বেশ কিছু ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়।” শিক্ষক চেয়ে আবেদন করলেও পরিস্থিতির বদল হয়নি বলে জানালেন তিনি।

গ্রামের আশেপাশে কোনও হাইস্কুল নেই। প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে অন্য হাইস্কুলে যেতে হয়। সে কারণে এই জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হয় এলাকার পড়ুয়ারা। কিন্তু শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে স্কুলটি।

বাসন্তীর বিডিও সৌগতকুমার সাহা বলেন, “স্কুলটিতে শিক্ষকের সঙ্কটের বিষয়টি জানি। এলাকার বেশ কয়েকটি জুনিয়র হাইস্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব রয়েছে। বিষয়টি স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে। আশা করি, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন