রাজর্ষি দাস
টেলিফিল্মের শুটিং করতে এসে মৃত্যু হল দমদমের এক স্কুল ছাত্রের। শনিবার ঘটনাটি ঘটে হিঙ্গগঞ্জের সুন্দরবন লাগোয়া পূর্ব মালেকানঘুমটি গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃত ওই কিশোরের নাম রাজর্ষি দাস (১২)। সে দমদমের কিশোরভারতী স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। বাড়ি কলকাতার দুর্গানগরের মানিকপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দমদমের ওই স্কুলের পাঁচ শিক্ষকের সঙ্গে ওই গ্রামে আসে স্কুলের পাঁচ ছাত্র। স্কুলেরই শিক্ষক পূর্ব মালেকানঘুমটি গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ মণ্ডল। রাজর্ষি দাস, অপ্রমেয় বসু, হিতাংশু দাস, শুভম দাস, অনির্বাণ মজুমদারকে নিয়ে শিক্ষকেরা তাঁর বাড়িতে ওঠেন। রবীন্দ্রনাথের কোনও ছোট গল্পের উপর সেখানে শুটিং করার কথা ছিল।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই ছাত্রেরা পুকুরে স্নান করতে যায়। শিক্ষকেরা কেউ ছিলেন না। হঠাৎ সঙ্গীরা দেখে তাদের সঙ্গে রাজর্ষি নেই। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অন্য ছাত্ররা জানায়, একবার স্নান সেরে উঠে আসার পর রাজর্ষি ফের পুকুরে নামে। এর পরেই সে তলিয়ে যায়। জাল ফেলে রাজর্ষিকে প্রথমে পাওয়া যায়নি। পরে পুকুরের একপাশে একটি গামছা ভাসতে দেখেন গ্রামের মানুষ। গামছায় টান দিতেই রাজর্ষির দেহ ভেসে ওঠে।
বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা নিজেদের দায়িত্বে ছাত্রদের নিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ পুকুরে স্নানের সময় তাঁরা সেখানে ছিলেন না কেন?’’ মা জানান, বাবা-মাকেও সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি স্কুল। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। কী ভাবে ছেলের মৃত্যু হল তা তদন্ত করুক পুলিশ। পুলিশ জানায়, শিক্ষক পার্থসারথি শীল, সৈকত সেন, কৃষ্ণগোপাল ঘোষ, প্রলয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণপদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মৃতের বাবা। তদন্তু চলছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাননি।