প্রতীকী ছবি।
পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে করা কুপ্রস্তাবের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা— তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে।
৬ সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের কাছে পুলিশ অফিসার তপন শীলের বিরুদ্ধে এসএমএস করে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন এক ছাত্রী। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের তদন্ত করতে আসা নৈহাটি থানার সাব ইন্সপেক্টর তপনবাবু তরুণীকে মোবাইলে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। ওই ছাত্রীও জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ কমিশনার ওই সাব ইন্সপেক্টরকে ‘ক্লোজ’ করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে গোয়েন্দা প্রধানের অফিসে যান ওই ছাত্রী। সেখানেই তিনি দাবি করেন, ‘‘আইনজীবীর পরামর্শেই মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছি আমি। ওই তদন্তকারী অফিসার থাকলে আমাদের বাড়ি নিয়ে শরিকি বিবাদের মামলায় আমরা হেরে যেতে পারি, এমন কথাও বলেছিলেন ওই আইনজীবী। তিনিই পরামর্শ দেন, ওই পুলিশ অফিসারের নাম করে একটি অন্য সিম নিয়ে এসএমএস করে বিষয়টি সাজানোর।’’
কিন্তু কী ভাবে তপনবাবুর নামে সিম তোলা হল, যাতে বিষয়টি এ ভাবে সাজানো যায়?
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর দাবি, অন্য নামে একটি সিম নিয়ে ওই অফিসারের নামে নম্বরটি সেভ করেন। সেই সিমটি অন্য মোবাইলে ভরে সেখান থেকে নিজের মোবাইলে এসএমএস পাঠাতে থাকেন ওই ছাত্রী। তাঁর দাবি, যা করেছেন,। সবটাই আইনজীবীর পরামর্শ মতো। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে ওই সিমটির বিষয়ে খোঁজ-খবর করতেই বিষয়টি সামনে আসে বলে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের দাবি।
এ দিন ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি সাজানো হয়েছিল। ওই ছাত্রীর বয়ান আদালতে বিচারকের কাছে নথিবদ্ধ করানো হবে। আমরা ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
ছাত্রীর আইনজীবীর হদিস এ দিন না মিললেও ব্যারাকপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এমন ঘটনার কথা জানি না। তবে আইনজীবী এই পরামর্শ দিলে মক্কেলই বা বাধ্য হয়ে মেনে নেবেন কেন? এর যথার্থ তদন্ত হওয়া উচিত।’’