খোঁড়া সেজে এসেছিল খুনি

কারখানায় যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তা জানত সে। তাই প্রথমে ঠিকঠাক হেঁটে কারখানার সামনে এসে তার পরে মুখে কাপড় বেঁধে খোঁড়া সেজে ভিতরে ঢোকে সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০২:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

গোটা মুখ কাপড়ে ঢাকা। এক পায়ে সাড় নেই। খোঁড়াতে খোঁড়াতে কারখানার গেট দিয়ে ঢুকেছিল বছর তিরিশের আততায়ী। গত ২৯ জুলাই মধ্যমগ্রামের বাদুতে খুন হন তৃণমূল নেতা সুধীর দাস। তদন্তে নেমে কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনের সূত্র বলতে এটুকুই মিলেছিল। এর পরে মধ্যমগ্রাম-সহ আশপাশের সমস্ত এলাকার পা ভাঙা ও খোঁড়া দুষ্কৃতীদের আটক করে জেরা করা হয়। দেখা যায়, ওই খুনের সঙ্গে যুক্ত নয় তাদের কেউই।

Advertisement

এর পরেই কারখানা ও রাস্তার পাশে লাগানো অন্য সমস্ত সিসিটিভি-তে খুনের ঠিক আগের ও পরের ফুটেজ দেখা শুরু করে পুলিশ। বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। দেখা যায়, খুনি মোটেই খোঁড়া নয়। কারখানায় যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তা জানত সে। তাই প্রথমে ঠিকঠাক হেঁটে কারখানার সামনে এসে তার পরে মুখে কাপড় বেঁধে খোঁড়া সেজে ভিতরে ঢোকে সে।

এর পরেই কারখানার পুরনো কর্মীদের জেরা শুরু করে পুলিশ। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার শাসন থানার বাদা থেকে সুরজিৎ পাত্র ওরফে সুরো নামে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই খোঁড়ার অভিনয় করেছিল সুরো। জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। আজ, শনিবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হবে।’’

Advertisement

মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি সুজিতবাবু বাদুর ওই কারখানাতেই কাজ করতেন। সেই কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্কেই তাঁর দেহ মেলে। কিন্তু সুজিতবাবুকে কেন খুন করল সুরো?

পুলিশের দাবি, জেরায় সে জানিয়েছে, ওই কারখানায় সে-ও কাজ করত। মাস দুই আগে চাকরি চলে যায়। ঘটনার দিন সুরো কারখানায় লোহার রড চুরি করতে ঢোকে। তা দেখে ফেলেন সুধীরবাবু। তিনি ফোনে কারখানার কর্তাদের তা জানাতে যান। তখনই পিছন থেকে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে সুরো। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুধীরবাবুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন