রমজান মিস্ত্রি
পড়শি তথা প্রাক্তন স্ত্রীর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের মারে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল এক যুবকের। পুলিশ অভিযুক্ত পরিবারের এক মহিলা ও তাঁর দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার রাতে বাসন্তীর সোনাখালির বাসিন্দা রমজান মিস্ত্রি (৩০) নামে ওই যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় ক্যানিং হাসপাতালে। শনিবার ভোরে সেখানেই তিনি মারা যান। তাঁর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রমজানের পড়শি সাকিনা গাজি এবং তাঁর দুই ছেলে সাবির ও সাকিলকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রমজানের বাবা জামাল মিস্ত্রি বলেন, ‘‘বৌমা ছেলেকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে ও খুব মনমরা থাকত। এ নিয়ে বলতে গেলে ওকে মারধর করা হয়। সাকিনাদের মারে প্রাণ গেল আমার ছেলেটার।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাত বছর আগে রমজানের বিয়ে হয়। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তিনি দিনমজুরের কাজে অন্যত্র থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাড়ি ফিরতেন। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সাকিনাদের এক আত্মীয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে রমজানের বিবাদ বাধে। তার জেরে কিছু দিন আগে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। রমজানের প্রাক্তন স্ত্রী সাকিনাদের ওই আত্মীয়কে বিয়ে করে মেটিয়াবুরুজে চলে যান। বিষয়টি মানতে পারেননি রমজান। এ নিয়ে রমজানের সঙ্গে প্রায়ই তাঁর পড়শি ওই পরিবারটির বিবাদ হচ্ছিল।
অভিযোগ, শুক্রবার ফের রমজান ওই পড়শি পরিবারটিকে কটূক্তি করেন। শুরু হয় গোলমাল। তার জেরেই সাকিনারা তিন জনে মিলে রমজানকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।