বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মধ্যমগ্রামের বস্ত্র ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানকে খুনে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে পলাশ শেখ এবং তৌহিদ শেখ নামে দুই অভিযুক্তকে অশোকনগর থানার পুলিশ বনগাঁর সীমান্তবর্তী এলাকা জয়ন্তীপুর থেকে গ্রেফতার করে। আর এক অভিযুক্ত সুজিত মণ্ডলকে মধ্যমগ্রামে তার বাড়ি থেকেই ধরা হয়।
তিন জনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত পলাশ। সে-ই ছিল হাফিজুরের ব্যবসার অংশীদার। পুলিশের দাবি, পলাশ জেরায় অপরাধের কথা কবুল করেছে।
শনিবার সকালে অশোকনগর থানার বালিশা-দত্তপুকুর সড়কের পাশের একটি নয়ানজুলি থেকে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় মধ্যমগ্রামের উদয়রাজপুর এলাকার কাজি নজরুল সরণির বাসিন্দা হাফিজুরের দেহ মেলে। তাঁর স্ত্রী রিনি পলাশ-সহ ওই তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর স্বামী পলাশের কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেতেন। কাপড়ের ব্যবসায় লাভ করতে না পারায় ওই ব্যবসা বন্ধ করেও দিয়েছিলেন হাফিজুর। অন্য ব্যবসা শুরু করবার জন্য তিনি পলাশের কাছে টাকা চান। প্রথম দিকে টাকা দিতে রাজি ছিল না পলাশ। পরে সে দশ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। সেই মতো টাকা দেবে বলে শুক্রবার বিকেলে তাঁর স্বামীকে পলাশ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরে তাঁর স্বামী আর ফেরেননি।
পুলিশের দাবি, জেরায় পলাশ জানিয়েছে, হাফিজুর তার কাছ থেকে ব্যবসার কোনও টাকা পেত না। তা সত্ত্বেও হাফিজুর টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সেই কারণে পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করে। নয়ানজুলির ধারে গল্প করবার ফাঁকে হাফিজুরের গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে দেয় পলাশ। তৌহিদ তার গলা টিপে খুন করে। পলাশ এবং তৌহিদ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে পুলিশের ধারণা। ধৃতদের সোমবার বারাসাত জেলা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের দশ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।