স্থায়ীপদে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন বিরোধী দলের কাউন্সিলররা। একই অভিযোগে পুর এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছে পুর এলাকার বাসিন্দাদের সংগঠন ‘জনকল্যাণ কমিটি’। এ বার একই অভিযোগ তুললেন শাসকদলের কাউন্সিলররাও। পুরপ্রধান অবশ্য অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, ক্লার্ক, পিওন এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর মোট ২২টি পদে দীর্ঘদিন কোনও নিয়োগ হয়নি। ওই নিয়োগের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পুরপ্রধান-সহ শাসকদলের চার কাউন্সিলরকে নিয়ে এ জন্য একটি কমিটিও গড়া হয়। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পাশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা হয়। উত্তীর্ণ ১৩০ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য সোমবার এবং আজ, মঙ্গলবার ডাকা হয়। কিন্তু অভিযোগ, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে না। অনেক যোগ্য প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করানো হয়নি। তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের অভিযোগ, যে চার জনকে নিয়ে নিয়োগ-কমিটি গড়া হয়েছে, তার মধ্যে দু’জনকে পুরো অন্ধকারে রেখে দেওয়া হয়েছে।
কমিটির ওই চার জনের মধ্যে রয়েছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূলের যুব সভাপতি রাজর্ষি দাস। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য কমিটি তৈরি করা হলেও অজ্ঞাত কারণে আমাকে অন্ধকারে রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।’’ একই অভিযোগ বিরোধী দলনেতা সিপিএমের পূর্ণেন্দু সরকারেরও। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী কোনও কমিটি তৈরি হলে সেখানে বিরোধীদেরও জায়গা হওয়ার কথা। কিন্তু সে নিয়ম মানা হয়নি। স্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণ হচ্ছে।’’
অভিযোগ উড়িয়ে পুরপ্রধান মিরা হালদারের দাবি, ‘‘স্বজনপোষণ হয়নি। সমস্থ নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আমার কোনও পরিচিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কৃতিত্ব তাঁর। অভিযোগ অসত্য।’’ অভিযোগ মানেননি ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারও। তাঁর দাবি, ‘‘বিরোধীরা নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করছে।’’কিন্তু তাঁর দলের কাউন্সিলরদের একাংশও যে একই অভিযোগ তুলছেন? বিধায়ক বলেন, ‘‘ওঁদের কোনও অভিযোগ থাকলে দলীয় নেতৃত্বকে জানাতে পারতেন।’’