Opposition candidates abducted

কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া বিরোধীদের চার বিজয়ী প্রার্থী ‘মধ্যরাতে অপহৃত’! আঙুল শাসকদলের দিকে

এই ঘটনায় পঞ্চসায়র থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা ও সুন্দরবন শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩ ১১:৪২
Share:

বৃহস্পতিবার রাতে ‘অপহরণের’ সিসিটিভি ফুটেজ, দাবি সিপিএমের। ছবি: ভিডিয়ো।

কলকাতার অতিথিশালা থেকে বিজেপির তিন জয়ী প্রার্থী এবং জয়ী বাম সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চার জনকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনায় পঞ্চসায়র থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। তাদের বক্তব্য, বিরোধীরা নিজেদের প্রার্থীদের ধরে রাখতে পারছে না। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপহরণের অসত্য অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

Advertisement

সিপিএমের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চসায়র থানার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে অতিথিশালা থেকে চার জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তার একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। সেটির সত্যতা অবশ্য আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। কান্তির অভিযোগ, মথুরাপুর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য বিরোধীদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল তৃণমূল। শাসকদলের শাসানি, হুমকিতে মাথা নত না করে মঙ্গলবার রাতে পঞ্চসায়রের অতিথিশালায় আশ্রয় নেন শাসকদলের বিরোধী জয়ী প্রার্থীরা। সেখান থেকেই তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘বন্দুক দেখিয়ে ওঁদের অপহরণ করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫টি। এই পঞ্চায়েত ভোটে সেখানে তৃণমূল জেতে চারটি আসনে। সিপিএম পায় তিনটি এবং বিজেপি ছ’টি। দু’টি আসনে জেতেন নির্দল প্রার্থীরা। কান্তির অভিযোগ, শুক্রবার নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ছিল বিরোধী ওই প্রার্থীদের। তার আগে তাঁদের অপহরণ করা হল। সিপিএম নেতার আরও দাবি, তাঁদের অপহরণ করে মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের একটি অতিথিশালায় রাখা হয়েছে।

Advertisement

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি বাপি হালদার বলেন, ‘‘বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওরা নিজেদের জয়ী প্রার্থীদের ধরে রাখতে পারছে না। এতে শাসকদলের কী করার আছে? তৃণমূল অপহরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কাউকে অপহরণ করার প্রয়োজনও নেই আমাদের। ওরা নিজেদের প্রার্থীদের ধরে রাখতে না পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন