শোকার্ত: পরিজনেরা
দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছিলেন তৃণমূলের উপপ্রধানের বাবা। শেষমেশ হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে খোর্দ মহাদেবপুর গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সুন্দরমোহন নস্কর (৭২)। তাঁর ছেলে বিধানচন্দ্র স্থানীয় কেচাড়কুড় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। ১৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রতিবেশীর বাড়িতে নিমন্ত্রণ সেরে ফেরার পথে বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীরা গুলি করে পালায় বৃদ্ধকে। সে সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী শেফালি ও বৌমা রত্না।
রক্তাক্ত অবস্থায় সুন্দরমোহনকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। সেখান তেরো দিন চিকিৎসার পরে রবিবার রাতে মারা যান বৃদ্ধ।
সোমবার দুপুরে তাঁর স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, ঘটনার রাতে বাড়িতে ঢোকার মুখে হঠাৎ গুলির শব্দ কানে আসে। পিছনে ঘুরে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন সুন্দরমোহন। চিৎকারে লোক জড়ো হয়ে যায়। ততক্ষণে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
এ দিকে, দলের উপপ্রধানের বাবার মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই আন্দোলন নেমেছে তৃণমূল। স্থানীয় বিধায়ক জয়দেব হালদারের নেতৃত্বে মন্দিরবাজার থানার কাছে মঞ্চ বেঁধে বিকেল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পরে সন্ধের দিকে দেহ আসে গ্রামে।
বিধানের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের ভোটের সময় থেকেই বিজেপির হুমকি চলছিল। বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করতেই এসেছিল। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গুলি লাগে তাঁর বাবার গায়ে। সিআইডি তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপপ্রধান। ধনঞ্জয় নস্কর নামে এক জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বিজেপির ব্লক সভাপতি দিলীপ জাটুয়া বলেন, ‘‘এই খুনের সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে বিবাদেই এই খুন।’’ — ছবি: দিলীপ নস্কর