হাবড়া পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডে মোট ২১২০ জন নতুন ভোটারের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পৌঁছে যেতে দেখা গিয়েছে হাবড়া যুব তৃণমূলের কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। একদিকে তৃণমূল আবার সরকার গঠন করার চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্য দিকে এ রাজ্যে নতুন সরকার তৈরির স্বপ্ন দেখছে বিজেপিও। লড়াইয়ের ময়দানে কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। তৃণমূল এবং বিজেপির, দু পক্ষেরই এখন পাখির চোখ রাজ্যের নতুন ভোটার। ইতিমধ্যেই হাবড়া বিধানসভার এলাকার হাবড়া পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডের মোট ২১২০ জন নতুন ভোটারের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতে দেখা গিয়েছে হাবড়া যুব তৃণমূলের কর্মীদের।
বুধবার সকাল থেকেই হাবড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেই ছবি ধরা পড়েছে আনন্দবাজার ডিজিটাল-এর ক্যামেরায়। ২০২১ সালে নতুন ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম উঠেছে, তাঁদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে হাবড়া পুরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক নীলিমেশ দাস তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তা, কলম, গোলাপফুল এবং মিষ্টি। এক নতুন ভোটার বিক্রম সাহা জানিয়েছেন, ‘‘নতুন ভোটার হয়ে খুব ভাল লাগছে।’’
নীলিমেশের কথায়, ‘‘গত দশ বছর হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উন্নয়নের গতি ধরে রেখেছেন। হাবড়ার বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’’ তাই তাঁর আশা, নতুন ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক ও তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের শরিক হবেন এবং তৃণমূলকে সমর্থন করবেন।
অন্যদিকে, নতুন ভোটারদের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কে ভোটের রাজনীতি বলেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ কই বিগত বছরগুলিতে তো তৃণমূলকে দেখা যায়নি নতুন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে! আসলে পুরানো ভোটাররা তো তৃণমূল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। তাই নতুন ভোটারদের দিকে এখন ঝোঁকার চেষ্টা চলছে। কিন্ত কোন লাভ হবে না।’’ তাঁর বিশ্বাস, আগামী বিধানসভা ভোটে হাবড়া থেকে বিজেপির প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন।