প্রতীকী চিত্র।
আশা ছিল, জেলা হিসাবে ঘোষণা হবে বসিরহাটের নাম। নিদেনপক্ষে নতুন পুলিশ জেলা হবে এই মহকুমা নিয়ে। সে সব ঘোষণা না হলেও কিছু নতুন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে আছে নতুন বাসরুট, হাইস্কুল।
বসিরহাট শহরে ত্রিফলা আলো বসেনি কেন? ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে বসিরহাটের পুরপ্রধানকে ডেকে এই প্রশ্ন করেন। পুরপ্রধান চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘এলইডি লাইট তো বসানো হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তা বললে তো হবে না। রাজ্যে সরকারের এক নিয়ম। যত দ্রুত সম্ভব বসিরহাট-টাকিতে ত্রিফলা আলো লাগাতে হবে। পুরএলাকা সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন পরিষ্কার করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একটু হেসে বলেন, ‘‘বসিরহাট-টাকিতে কেবল কাঁচাগোল্লা খেলে হবে না। আমি কিন্তু খুব শীঘ্রই যাব। তখন সব ঠিকঠাক কাজ হচ্ছে কিনা দেখব।’’
হাসনাবাদ এবং পার হাসনাবাদের মধ্যে সেতুর কাজে ঢিমেতালে হচ্ছে বলে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলের কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একশো কোটি টাকা খরচ করে সেতু হচ্ছে। ওখানে জলের ভয়ঙ্কর স্রোত। আপনারা কি চাইছেন সেতুটির ক্ষতি হোক?’’ সন্দেশখালির বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রণজিৎ দাস ন্যাজাট থেকে কলকাতা বাসের কথা বললে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাসের দাবিতে মিছিল করুন। আমার অত বাস নেই যে দেওয়া সম্ভব হবে।’’ তবে বসিরহাট থেকে হাড়োয়া হয়ে কলকাতা যাওয়ার বাসের প্রস্তাবে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। মালঞ্চে হাইস্কুল করারও প্রতিশ্রুতি দেন মমতা।