গাড়ুলিয়ায় শ্মশান বন্ধ, দুর্ভোগ

গাড়ুলিয়ার রত্নেশ্বর ঘাটে সৎকার করতে আসা লোকজনের এখনকার দাহর ঠিকানা হল ভদ্রেশ্বর শ্মশান। লরি বা মৃতদেহবাহী গাড়ি থেকে দেহ নামিয়ে নৌকোয় চাপিয়ে গঙ্গা পার করা ছাড়া উপায় নেই। দিনের বেলা নৌকোর ব্যবস্থা হলেও রাতে নৌকো পাওয়া বেশ ঝঞ্ঝাটের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাড়ুলিয়া শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০২:৩২
Share:

শ্মশানঘাট: নিজস্ব চিত্র

দিন আটেক বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে শ্মশান। দুর্ভোগে বাসিন্দারা।

Advertisement

গাড়ুলিয়ার রত্নেশ্বর ঘাটে সৎকার করতে আসা লোকজনের এখনকার দাহর ঠিকানা হল ভদ্রেশ্বর শ্মশান। লরি বা মৃতদেহবাহী গাড়ি থেকে দেহ নামিয়ে নৌকোয় চাপিয়ে গঙ্গা পার করা ছাড়া উপায় নেই। দিনের বেলা নৌকোর ব্যবস্থা হলেও রাতে নৌকো পাওয়া বেশ ঝঞ্ঝাটের। তবু মানুষকে এ ভাবেই দাহ করতে যেতে হচ্ছে।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের পুরনো এই শ্মশান ঘাটের একটি মাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লির কয়েল পুড়ে গিয়েছে। চুল্লি ঠান্ডা করে কয়েল বদল করে ফের চুল্লি চালু করতে দিন পনেরোর ধাক্কা। গাড়ুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিংহ বলেন, ‘‘আচমকাই বৈদ্যুতিক চুল্লির কয়েলটা পুড়ে গেল। সারাতে একটু সময় লাগে। এরপর ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা পরখ করে মৃতদেহ ঢোকানো হবে। এই সপ্তাহটা লাগবে চালু করতে।’’

Advertisement

কিন্তু সমস্যাটা শুধু এখানেই শেষ নয়। এই শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাটিও অত্যন্ত খারপ। দেহ নিয়ে যেতে আসতে অসুবিধায় পড়তে হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে এবং ঘোষপাড়া রোড থেকে রত্নেশ্বর ঘাট পর্যন্ত যে রাস্তাগুলি গিয়েছে সেগুলির অবস্থা খারাপ। ওই রাস্তাগুলি খানা খন্দে ভরা। বর্ষায় তার মধ্যে জল জমে। তখন নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। এই রাস্তা পেরিয়ে অনেকেই আসছে দাহ করতে। কিন্তু এসে দেখছেন যে শ্মশান বন্ধ। তখন ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। তাঁদের কথায়, ‘‘শ্মশান বন্ধের বিষয়ে পুরসভার উচিত ছিল রাস্তার উপর নোটিস ঝোলানো। একে তো রাস্তা খারাপ। তা পেরিয়ে আসতেই ভোগান্তির শেষ নেই। তারপর এসে দেখি যে শ্মশান বন্ধ। এ ভাবে খুব সমস্যা হচ্ছে।’’ রত্নেশ্বর ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসার পর গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মৃতদেহের ভিড় ওই শ্মশানেই হতো। পুরসভা একটি শ্মশানের পরিকল্পনা করে। তার খসড়া তৈরি করে কাজও শুরু হয়। এরপর এই শ্মশানে চারটি বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর পরিকল্পনা আছে বলে গাড়ুলিয়া পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আপাতত এটি সারানোর পর আরও একটি চুল্লি বসানোর কাজ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন