rainfall

Rainfall: টানা বৃষ্টিতে বিপত্তি

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঝড়ের দাপটে বাড়ি, গাছ ভেঙেছে অনেক জায়গায়। বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব  প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২২ ০৮:৩৫
Share:

চেষ্টা: বাঁধ ঢাকা হচ্ছে ত্রিপলে নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকাগুলিতে দফায় দফায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই। শুক্রবার সকাল থেকে বেড়েছে হাওয়ার গতিবেগ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বইবে ঝোড়ো বাতাসও। উত্তাল হবে নদী ও সমুদ্র।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঝড়ের দাপটে বাড়ি, গাছ ভেঙেছে অনেক জায়গায়। বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। বকখালি ও গঙ্গাসাগরে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবনের সব ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। সুন্দরবনের সব ক’টি ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।

বহু জায়গায় বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। এদিন সাগরের ধবলাট পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকায় এদিন নদীবাঁধ পরিদর্শনে যান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তিনি বলেন, “সকালে সাগরের বিভিন্ন এলাকার নদীবাঁধ ঘুরে দেখি। সাউঘেরির নদীবাঁধে কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখান দিয়ে এলাকায় জল ঢোকে। সেচ দফতর প্রস্তুত আছে দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য।” জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “উপকূলে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, ঝোড়ো বাতাস বইছে। দুর্যোগের জন্য রবিবার পর্যন্ত উপকূল এলাকায় কড়া নজরদারি চলবে।”

Advertisement

দু’দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবারের বেশ কিছু ওয়ার্ডের নিচু এলাকা। অনেকের বাড়িতে জল ঢুকেছে। ঝড়ে গাছ ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে কয়েকটি এলাকায়। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ছিল। পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক জায়গায়।

ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম নেতা সুমিত গুপ্তের অভিযোগ, ‘‘এখনও সর্বত্র নালা তৈরি না হওয়ায় এই অবস্থা। দুর্ভোগে পড়ছেন মানুষ।’’ বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার ওবিসি মোর্চার সভাপতি সুরজিৎ হালদার বলেন, ‘‘নিকাশি-নালা দখল করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। খাল সংস্কার না হওয়ায় মজে গিয়েছে। ফলে জমা জল বেরোতে পারছে না।’’ উপ পুরপ্রধান রাজর্ষি দাস বলেন, ‘‘নিকাশি নালা এবং খাল সংস্কারের কাজ চলছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’

ঝড়-বৃষ্টি চলছে উত্তর ২৪ পরগনাতেও। উপকূলে অনেক জায়গাতেই দুর্বল হয়ে পড়েছে নদীবাঁধ। একাধিক জায়গায় বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সন্দেশখালি ২ ব্লকের মণিপুর পঞ্চায়েতের আমতলিতে বালি নদীর বাঁধে ফাটল দেখা যায় দিন কয়েক আগে। এ দিন ঝড়-বৃষ্টিতে তা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বাঁধ ভাঙার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেচ দফতরের তরফে ওই জায়গায় ত্রিপল ঢাকা দিয়ে কোনও রকমে সামাল দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন