চিকিৎসকদের গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, রোগীকল্যাণ সমিতির বিশেষ বৈঠক ডেকে হাসপাতালের সমস্যা মেটানো হবে। কিন্তু সেই ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। বৈঠক এখনও হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে শেষবার কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়েছিল। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, মাসে অন্তত একবার ওই বৈঠক হওয়ার কথা। মাস কয়েক আগে এক যুবকের মৃত্যুর পরে হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিলেন চিকিৎসকেরা। রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক না হওয়ায় সেই টানাপড়েন এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই একজন চিকিৎসক পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আরও দু’জন চিকিৎসক পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। বৈঠক না হওয়ায় তা নিয়ে আলোচনাই করা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমাদের কাজ করতে অসুবিধা নেই। কিন্তু আমরা নিরাপত্তা চাই। ভুলত্রুটি হলে সুস্থ ভাবে সমাধান খুঁজতে হবে। হাসপাতালে পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই কথাগুলি বলব কোথায়? রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকই তো হয় না।’’
দাবি উঠেছে, রোগী কিংবা তাঁর পরিবারের অভিযোগের দিকে নজর রাখার জন্য হাসপাতালে আলাদা বিভাগ করা হোক। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এখন সামান্য বিষয় নিয়েও বিক্ষোভ শুরু হয়ে যাচ্ছে। এতে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গত মাসে বাঘের কামড়ে মৃত এক যুবকের ময়না-তদন্ত নিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে চিকিৎসকদের গোলমাল হয়েছিল। এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ময়না-তদন্ত কিংবা জটিল অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না চিকিৎসকেরা।
কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ভুপতিনাথ মাজি এবং রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা দু’জনেই জানিয়েছেন, শীঘ্রই ওই বৈঠক হবে।