Bhangar

নজরকাড়া চাহিদা  অনেকেরই, শিকে ছিঁড়বে কার ভাগ্যে

বানতলা চর্মনগরী থেকে চর্মজাত দ্রব্য বিদেশে রফতানি করে প্রায় ৬ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার প্রতি বছর ভারতে আমদানি হয় বলে জানা গেল।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১২
Share:

রফতানির জন্য আনাজ প্যাকেটজাত করা হচ্ছে ভাঙড়ে । ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা তথা সুন্দরবনের মাছ, কাঁকড়ার বাজার বিশ্বজোড়া। এ ছাড়াও জেলায় উৎপাদিত আনাজ বিদেশে রফতানি হয়। জয়নগরের মোয়ার সুখ্যাতি আছে দেশ-বিদেশে। সুন্দরবনের মধুরও কদর ভাল। অন্য দিকে, বানতলা চর্মনগরী দেশ তথা এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ চর্মনগরী। এখানকার উৎপাদিত জুতো, ব্যাগ, বেল্ট, চামড়ার পোশাক প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রফতানি হয়। প্রচুর বিদেশি মুদ্রা আসে। বারুইপুরের পেয়ারা-লিচুই বা কম যায় কীসে!

Advertisement

বানতলা চর্মনগরী থেকে চর্মজাত দ্রব্য বিদেশে রফতানি করে প্রায় ৬ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার প্রতি বছর ভারতে আমদানি হয় বলে জানা গেল। চর্মনগরীর ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জিয়া নাফিস বলেন, ‘‘এখানে নতুন ফুটওয়ার পার্ক তৈরি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লাভস আমাদের এখান থেকে সব থেকে বেশি রফতানি হয়। আমাদের প্রতিযোগী একমাত্র পাকিস্তান। কিন্তু এখানে ফুটওয়ার পার্ক তৈরি হলে জুতোর রফতানি আরও বাড়বে।’’

জেলা থেকে মাসে প্রায় ১০০ টন মাছ বিদেশে রফতানি হয় বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পশ্চিমবঙ্গ ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি জয়কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘‘আমাদের জেলার মৎস্যজীবীদের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দিলে তাঁরা ভাল ভাবে মাছ প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবেন। সরকার এর উদ্যোগ করলে জেলা থেকে আরও বেশি মাছ রফতানি করা সম্ভব।’’ ভাঙড়, জীবনতলা, জয়নগর, কুলতলি-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর আনাজ উৎপাদন হয়। আগে ইউরোপের দেশগুলিতে আনাজ পাঠানো হলেও এখন তা বন্ধ। তবে জেলা থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ টনের বেশি আনাজ এখনও বিদেশে যায়। মাসে ১৫-২০ লক্ষ টাকা বিদেশি মুদ্রা ভারতে আসে। ভাঙড় ভেজিটেবল ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় মূলত রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ হয়। যে কারণে আমেরিকা-সহ ইউরোপের দেশগুলিতে এই আনাজের কদর কমেছে। জৈব সারে চাষ না হওয়ায় রফতানিতে সমস্যা হচ্ছে।’’ জেলায় সরকারি ভাবে প্যাকেজিং হাউস না থাকার ফলেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি। নিউটাউন, ভাঙড়-সহ আশপাশের এলাকায় প্যাকেজিং হাউস, হিমঘর তৈরি হলে চাষিরা উপকৃত হবেন বলে তাঁর মত। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘‘জেলার চামড়াজাত দ্রব্য, মাছ, সব্জি বিদেশে রফতানি হয়। কোন পণ্যকে চিহ্নিত করে বিপণনে জোর দেওয়া হবে, তা নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। এলে সে বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন