মিটে গিয়েছে ভোটপর্ব। কিন্তু এখনও মোছা হল না দেওয়াল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিঙের বিভিন্ন জায়গাতে এখনও পতাকা, ফ্লেক্স, ব্যানার লাগানো রয়েছে। পাশাপাশি অন্যের বাড়ির দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে লিখনগুলি। প্রত্যেকবারের মতো এ বারও দৃশ্য দূষণ নিয়ে অভিযোগ উঠছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও সরকারি অফিসের দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লিখে প্রচার করা যাবে না। সে কারণে বহু লোকের বাড়ির দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লেখা হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে অনুমতি নিয়ে লেখা হয়েছে। আবার কোনও ক্ষেত্রে অনুমতি ছাড়াই দেওয়াল লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ইচ্ছা না থাকলেও ভয়ে অনেকেই মুখ বুজে দেওয়াল লিখনে অনুমতি দিতে হয়েছে। ভোট মিটে গিয়েছে। তাই প্রত্যেকের কাছে আবেদন, এ বার এসে অন্তত দেওয়ালগুলি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাজনাতিক দলগুলির কোনও সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
এই মহকুমার চারটি বিধানসভা এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স, পতাকা। এ ব্যাপারে ক্যানিঙের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করব। সেখানে পতকা, ফ্লেক্স, ব্যানার খুলে ফেলার কথা বলা হবে। দেওয়াল লিখন মোছার জন্যও সব দলকে অনুরোধ করা হবে।’’
কী বলছেন রাজনৈতিক নেতারা? কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, ‘‘কমিশনের সব নির্দেশ মানতে আমরা বাধ্য। ভোটের কারণে সকলে খুব ব্যস্ত ছিলাম। শীঘ্রই কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজে দেওয়াল মোছার কাজে নামব।’’একই বক্তব্য আরএসপির জেলা সম্পাদক চন্দ্রশেখর দেবনাথেরও। আর জেলা পরিষদের তৃণমূলের সহ-সভাধিপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন, ‘‘দেওয়াল মোছা নিয়ে এখনও কর্মীদের বলাই হয়নি। তবে দ্রুত বলা হবে।’’