জল নিতে গোলমাল হয় গ্রামে

হাজার দেড়েক মানুষের বাস এই গ্রামে একটিই নলকূপ রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় সেখান থেকেও ঠিক মতো জল পড়ে না। শুকিয়ে গিয়েছে পুকুরগুলোও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ১২:৫৪
Share:

জল-চাই: এই নলকূপই ভরসা। ছবি: দিলীপ নস্কর

তীব্র গরমে জলকষ্টে ভুগছেন ফলতা দেবীপুর পঞ্চায়েতের ঘড়ুলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এমনই যে জল সংগ্রহ করতে গ্রামের নলকূপের সামনে মাঝরাত থেকেই বালতি-গামলা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন তাঁরা। এমনকী, জল নেওয়া নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটছে।

Advertisement

হাজার দেড়েক মানুষের বাস এই গ্রামে একটিই নলকূপ রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় সেখান থেকেও ঠিক মতো জল পড়ে না। শুকিয়ে গিয়েছে পুকুরগুলোও। ফলে ওই নলকূপের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও জলের চাহিদা মিটছে না। গ্রামবাসীরা জানান, এই জল দিয়ে সংসারের সব কাজ মেটে না। বেশি জল নিতে গেলে ঝগড়া বেধে যায়। গ্রামের মহিলারা জানান, জলের হাহাকারে আত্মীয়রাও বাড়িতে আসতে পারেন না। এই গরমে এক বালতি জল দিয়েই চলছে দু’জনের স্নান। মাঝে মধ্যেই চলছে জলের জন্য বিক্ষোভ। স্থানীয় পলাশ হালদার, বাসন্তী বায়েনদের দাবি, একাধিক বার প্রশাসনের কাছে আরেকটি নলকূপের জন্য বলা হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এই নলকূপটি বহু পুরনো। ভাল ভাবে জলও পড়ে না।’’

দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মুকুল মণ্ডল ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই নলকূপ থেকে জল নেওয়া নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। পঞ্চায়েতে সভা ডেকে মেটাতে হয়। একাধিক বার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রশাসনকে জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা হয়নি।’’

Advertisement

ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ বলেন, ‘‘ওই গ্রামের মধ্যে দিয়ে নতুন চওড়া রাস্তা হওয়ায় নলকূপটি মাঝ রাস্তায় চলে এসেছে। ওই নলকূপ সরানো যাবে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। যদি নলকূপ সরানো না যায়, তাহলে নতুন করে নলকূপ বসানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন