কর্মশালা: গাইঘাটায় ছাত্রীদের সর্তকতার পাঠ। নিজস্ব চিত্র
এতদিন সে সংবাদ মাধ্যমে দেখেছিল, মহিলাদের উপর নানা অত্যাচারের ঘটনা। বুধবার গাইঘাটা থানার ওসিকে সামনে পেয়ে প্রশ্নটা করেই ফেলল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। তার প্রশ্ন, ‘‘মহিলাদের উপরে অত্যাচার কেন বাড়ছে?’’
এমন প্রশ্ন যে আসতে পারে ভাবতে পারেননি গাইঘাটা থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী। কিছুটা সামলে তিনি বলেন, ‘‘সংবাদ মাধ্যমে তো গোটা দেশে মহিলাদের উপর নির্যতনের ঘটনা তুলে ধরা হয়। গাইঘাটা থানা এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের সংখ্যা খুবই কম।’’ তার পরেই এক শিক্ষিকার প্রশ্ন, ‘‘কোনও অপরাধ ঘটার পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে দেরি করে কেন?’’ ওসি তখন জানান, অপরাধ কতখানি গুরুতর, সেটি বিচার করেই অপরাধীকে ধরা হয়। এছাড়া তদন্তের জন্য পুলিশের কিছুটা সময় লাগে।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি ব্লকে ৩০ জন করে কন্যাশ্রীর আওতাভুক্ত ছাত্রীকে থানা-সহ নানা সরকারি অফিস ঘুরিয়ে দেখানো হয়। তার মাঝেই চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেই সময়েই উঠে আসে এমনই প্রশ্ন।
গাইঘাটা ব্লকের দু’টি স্কুল থেকে ৩০ জন ছাত্রীকে গাইঘাটা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের জিডি এবং এফআইআর সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন হলে পুলিশ কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে সেটিও জানানো হয়। স্থানীয় চাঁদপাড়া বাণী বিদ্যাবীথি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মুনমুন পাঠকের কথায়, ‘‘থানায় আসার পরে পুলিশ সম্পর্কে ভয় কেটে গেল। এ দিনের অভিজ্ঞতার কথা এলাকায় গিয়ে সবাইকে বলব।’’ শুধু আইনের প্রাথমিক জ্ঞান নয়, চাষের আধুনিক প্রযুক্তি এবং সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা সম্পর্কেও জানানো হয় ছাত্রীদের।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, ‘‘মেয়েদের সচেতন করে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো হয়েছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, এ দিন মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।