স্বামীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ২২ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিঙের তালদিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুব্রত নস্কর নামে জখম ওই যুবক সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ওই যুবক চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন অভিযোগ করতে পারেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় আট মাস আগে ক্যানিঙের পূর্ব দাঁড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুব্রতবাবুর সঙ্গে তালদির ওই তরুণীর বিয়ে হয়। প্রথমে সুব্রতবাবুর বাড়ির লোক এই বিয়ে মানেননি। পরে মেনে নিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সুব্রতবাবু শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পরে সুব্রতবাবু স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এর প্রতিবাদ করাতে প্রায়শই তাঁর স্ত্রী-র সঙ্গে ঝগড়া হতো বলে জানান তিনি।
সুব্রতবাবুর অভিযোগ, ২২ ডিসেম্বর রাতে ঘুমানোর সময় সুব্রতবাবুর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কোনও রকমে তিনি নিজেই কম্বল দিয়ে আগুন নেভান। কিন্তু তাঁর শরীরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছিল। তারপর তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পাশাপাশি ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে তাঁর অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর কোনও রকমে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপরেই তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘কাজ থেকে ফিরে স্ত্রীকে ওই যুবকের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখি। আপত্তি করেছিলাম দেখে রাতে স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্বশুর আমার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’’
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।