পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। তাঁকে খুনের অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নামেও খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার রাজনগরের ক্রুতুপাড়ার। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অখিলকুমার প্রধান (৪৪)। তাঁর ছেলে অতনু পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছে, মা আলপনাদেবীর সঙ্গে এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে বাড়িতে বাবা-মায়ের অশান্তি হতো। তারই জেরে খুন করা হয়েছে বাবাকে। অভিযুক্ত নেতা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে। সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
শনিবার সকাল থেকে খোঁজ মিলছিল না অখিলবাবুর। পরে স্থানীয় পলাশ দাসের পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা যায়।
তবে পুলিশকে ভাবাচ্ছে অন্য একটি বিষয়।
পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে তৃণমূল নেতার নাম থাকলেও পদবি নেই। প্রশ্ন হল, অখিলবাবুকে যদি খুনই করা হয়ে থাকবে, তা হলে সুইসাইড নোট এল কী ভাবে। তা ছাড়া, অখিলবাবু সাঁতার জানতেন বলে জানিয়েছে ছেলে। সে ক্ষেত্রে গ্রামের ছোট পুকুরে কী ভাবে ডুবে আত্মহত্যা করলেন তিনি, সে প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সুইসাইড নোটে হাতের লেখা অখিলবাবুরই কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাজনগরের বাসিন্দা অখিলবাবু ছিলেন গৃহশিক্ষক। স্ত্রী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। অভিযোগ, ফ্রেজারগঞ্জের ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে অখিলবাবুদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল ওই নেতার।
দক্ষিণ শিবপুরের বাসিন্দা ওই নেতা বিবাহিত। দলের ফ্রেজারগঞ্জের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। পেশায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মী। দলে প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে। তবে তৃণমূল নেতা শ্রীমন্ত মালি দাবি করেছেন, অনেক দিন আগেই দলের পদ থেকে সরিয়ে হয়েছিল ওই নেতাকে।