বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রকে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুসোনা।
ঘটনাচক্রে গত ৭ মার্চ অসুস্থ হয়ে মারা যান ওই তরুণী। তারপর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বাবুসোনা। বৃহস্পতিবার রাতে বসিরহাট থানার পুলিশ বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে হাড়োয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে শুক্রবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএ প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী বসিরহাটেরই বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তাঁর আলাপ হয় দত্তপুকুরের বামনগাছির বাসিন্দা বাবুসোনার। তিনি কল্যাণীর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েন।
২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই যুবক মেয়েটির বাড়ি এসে সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে ওই ছাত্রী বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও প্রেমিকের এ হেন আচরণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই ছাত্রী। গত ৭ মার্চ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মেয়ের লেখা ডায়েরির সূত্র ধরে বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। বাবুসোনার অবশ্য দাবি, মেয়েটির সঙ্গে তাঁর তেমন গভীর সম্পর্ক ছিল না। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। তবে মামলার তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, বাবুসোনার মোবাইল ঘেঁটে এটা স্পষ্ট, বাবুসোনা প্রায়ই ওই তরুণীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রাখতেন।