পনেরো বছরের মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ২ চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
বনগাঁ আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ‘‘ফারুখ শেখ নামে ওই যুবককে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ টাকা কিশোরীকে দিতে হবে বলে বিচারক জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, ফারুখের বাড়ি গোপালনগরের ফুলবাড়ি এলাকায়। ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর রাতে স্থানীয় একটি গ্রামের ওই কিশোরী বাড়ির কাছে কালীপুজো দেখতে গিয়েছিল। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সে রাস্তা দিয়ে একা বাড়ি ফিরছিল। সে সময়ে ফারুখ তাকে জোর করে পাশের একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়ের বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে পরিবারের লোকেরা খুঁজতে বেরোন। মাঠের মধ্যে থেকে কাদা মাখা অবস্থায় মেয়েকে পাওয়া যায়। খোঁজ-খবর করে এবং মেয়ের কাছ থেকে বর্ণনা শুনে সকলে বুঝতে পারেন, ধর্ষিতা হয়েছে মেয়েটি। ফারুখই দায়ী। ৬ নভেম্বর গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পর দিনই ফারুখ গ্রেফতার হয়। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি হাতে নিয়েছিলাম। মামলা দ্রুত শেষ করতে দু’মাসের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।’’ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী ছিলেন। মামলা চলাকালীন মূক-বধিরদের কথা বুঝতে পারেন এমন এক ব্যক্তিকে আদালতে আনা হয়েছিল। এ দিন ওই যুবক এজলাসে কান্নায় ভেঙে পড়ে। জানায়, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে সে।