বর্ষবরণের আসরে যুবককে গুলি করে ‘খুন’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঊষুমপুরে রামবলির মাঠের কাছে তোতনের বাড়ি। তাঁর গেঞ্জির কাপড় কাটার ব্যবসা। রাজেশ ছিলেন পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৪
Share:

রাজেশ ঘোষ।

বন্ধুর বাড়ির ছাদে ছিল বর্ষবরণ উদ্‌যাপন। রাতে সেখান থেকেই উদ্ধার হল এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঘোলার ঊষুমপুরে। মৃতের নাম রাজেশ ঘোষ ওরফে বাপ্পা (৩৮)। ঘটনায় রাজেশের স্ত্রী পিয়ালী তাঁর বন্ধু শান্তনু রায়চৌধুরী ওরফে তোতনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই রাতে তোতনের বাড়ির ছাদ থেকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজেশের দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কে, কী কারণে গুলি চালাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তোতন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঊষুমপুরে রামবলির মাঠের কাছে তোতনের বাড়ি। তাঁর গেঞ্জির কাপড় কাটার ব্যবসা। রাজেশ ছিলেন পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। তাঁরও বাড়ি ওই এলাকায়। রাজেশ তোতনকে কাকা ও তোতন রাজেশকে ভাইপো বলে ডাকতেন। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জেনেছে, বছর তিনেক আগে একটি বিষয় নিয়ে দুই বন্ধুর মনোমালিন্য হয়। তার পরেই বন্ধুত্বে ভাটা পড়ে। রাজেশের পরিজনেদের দাবি, সম্প্রতি তোতন আবার বন্ধুর সঙ্গে মেশার চেষ্টা করছিলেন। সেই সূত্রেই রবিবার সন্ধ্যায় তিনি রাজেশকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। বন্ধুর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেননি রাজেশও।

তদন্তকারীদের অনুমান, তোতনের বাড়ির ছাদে মদের আসর বসেছিল। আচমকাই বচসা বাধে। আর তার জেরেই মারধর করা হয় রাজেশকে। তবে কী এমন ঘটল যার জন্য গুলি চলল, তা নিয়েই খটকা লাগছে তদন্তকারীদের। এই ঘটনায় তৃতীয় কারও হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রাজেশ ও তোতনের মোবাইলের কল-লিস্টও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

রাজেশের স্ত্রী পিয়ালীর অবশ্য অভিযোগ, পুরনো বচসার প্রতিহিংসা মেটাতেই এই খুন। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে তোতন। তার আগে ওকে মারধর করা হয়েছে। তখনই ও আমাকে ফোন করে ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলেছিল। তার পরে মুহূর্তে সব শেষ।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে করা গুলি ওই যুবকের মাথা ভেদ করে গিয়েছে। মাথার সামনে থেকেই গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান তদন্তকারীদের। রাজেশের ফোনের পরেই পিয়ালী আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের ফোন করে বিষয়টি জানান। তোতনের বাড়ি গিয়ে সকলে রাজেশকে ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (২) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে ঘটনাটিতে অনেক ধোঁয়াশা আছে। সব কিছুই তদন্ত করে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন