ঘরে জল থই থই। এ ভাবেই চলছে জীবন। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
বৃষ্টি ধরেছে অনেক দিন আগে। কিন্তু এখনও জল নামেনি দেগঙ্গার হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি। ১০৮টি আদিবাসী সম্প্রদায় মানুষের বাস এই কলোনিতে। ৩৫টি ঘর এখনও জলমগ্ন। এখনও কলোনির ৩০টি পরিবার দু’টি ত্রাণ শিবিরে রয়েছে। জল নিকাশির কোনও উদ্যোগ প্রশাসন না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। এর আগেও এই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। সুজাতা সিংহ, রাখি সর্দার, ফুলমণি ও সুভাষিরা বলেন, ‘‘বৃষ্টির সময়ে ঘরের মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলাম। আমাদের বেশিরভাগ ঘরে এখনও জল ঢুকে রয়েছে।’’ মথুর সর্দার নামে এক ব্যক্তি জানান, ঘরের মধ্যে জল না নামায় অন্ধ স্ত্রীকে নিয়ে ঘরেই বাঁশের মাচা করে দিন কাটাতে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সাপের উপদ্রব। জমা জল পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রোগ ও সংক্রমণের আশঙ্কা আছে।
হরেকৃষ্ণ কোঙার শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে চলছে ত্রাণ শিবির। ওই স্কুলের সহায়িকা শ্যামলী পাল বলেন, ‘‘স্কুলের সময়ে আমরা শিবিরে থাকা লোকেদের বার করে দিচ্ছি। এ ভাবে স্কুল চালাতে অসুবিধা হচ্ছে।’’
দেগঙ্গা ১ পঞ্চায়েতের প্রধান আবদুল রউফ বলেন, ‘‘নিকাশিনালা না থাকায় জমা জল বার হচ্ছে না। কৃষি জমির উপর দিয়ে জল নামাতে গেলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাই পাম্প বসিয়ে জল বার করতে হবে।’’ বিডিও মানসকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, কী ভাবে জল বার করা যায় তার চেষ্টা চলছে। তবে জল না নামা পর্যন্ত ত্রাণ শিবির চলবে।