এজলাসে শুনানি, আদালতের বাইরে হাতাহাতি দু’পক্ষের

আদালতে চলছে খুনের বিচার। ঠিক সে সময়েই আদালত চত্বরের বাইরে বচসায় জড়িয়ে পড়ল বাদী-বিবাদী পক্ষ। এক দল বলল, খুনিদের ফাঁসি চাই। অন্য দল ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি তুলল। লড়াই গড়াল হাতাহাতি পর্যায়ে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত আদালতে। পরিস্থিতি এমন হয় যে, সামাল দিতে নামানো হয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩০
Share:

আদালতে চলছে খুনের বিচার। ঠিক সে সময়েই আদালত চত্বরের বাইরে বচসায় জড়িয়ে পড়ল বাদী-বিবাদী পক্ষ। এক দল বলল, খুনিদের ফাঁসি চাই। অন্য দল ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি তুলল। লড়াই গড়াল হাতাহাতি পর্যায়ে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত আদালতে। পরিস্থিতি এমন হয় যে, সামাল দিতে নামানো হয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। তারাই দু’পক্ষকে নিরস্ত্র করে। তবে মারপিটের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Advertisement

পুলিশ জানায়, গত ১ জুন রাতে আমডাঙায় আসিফ আলি মিলন (২১) নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় ৭ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করে আমডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে আমডাঙার চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ফুলজান বিবির ছেলে ইমদাদুল হকও আছেন। অভিযুক্ত দু’জনকে পলাতক। ইমদাদুল-সহ ধৃত ৫ জনের নামে খুনের অভিযোগে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এ দিন আদালতে ওই মামলাটির বিচার চলছিল।

মামলার শুনানির জন্য আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন দু’পক্ষের শ’দুয়েক মানুষ। নিহত আসিফের পরিবার ও গ্রামবাসীদের একাংশ অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, মামলা প্রত্যাহারের জন্য ধৃতদের পরিবার-পরিজন আসিফের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। অন্য দিকে গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি তোলে, আসিফ খুনের ঘটনায় ইমদাদুল-সহ ধৃতদের ফাঁসানো হয়েছে। তাঁদের মুক্তি চাই। সেখান থেকেই গোলমাল বাধে। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। আদালত চত্বরে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা ঘটনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তত ক্ষণে দু’পক্ষের মারপিট বেধেছে। আদালতের কিছু কর্মী আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে চলে আসে আরও পুলিশ। দু’পক্ষকে হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement