ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উত্‌সব সাগরের গ্রামে

সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক উত্‌সব শুরু হয়েছে সাগরের জয়গুরু আশ্রমমোড়ে। আয়োজনে, সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ছায়ানট শিল্পীচক্র সংস্থা। যেটি একটি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ও বটে। গত ১১ অক্টোবর ওই উত্‌সবের সূচনা হয়েছে। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৬
Share:

সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক উত্‌সব শুরু হয়েছে সাগরের জয়গুরু আশ্রমমোড়ে। আয়োজনে, সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ছায়ানট শিল্পীচক্র সংস্থা। যেটি একটি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ও বটে। গত ১১ অক্টোবর ওই উত্‌সবের সূচনা হয়েছে। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা। উত্‌সব চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। উদ্যোক্তারা জানালেন, এই বছর তাঁদের ওই উত্‌সব ২৭ বছরে পা রাখল। উদ্যোক্তারা জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা, আবৃত্তি, গান, নাচের মতো সাংস্কৃতিক দিকেও ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভাকে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। সে জন্য প্রতি বছরই সংস্থার পক্ষ থেকে এই উত্‌সবের আয়োজন করা হয়। এলাকার বাইরেও বেহালা, ঠাকুরপুকুর, বারুইপুর, কাকদ্বীপ এমনকী নদিয়া, বীরভূম প্রভৃতি জেলা থেকেও প্রতিযোগীরা এসে উত্‌সবে যোগদান করে। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও রয়েছে নানা প্রতিযোগিতা। তা ছাড়া, প্রতি দিনই বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এলাকার মানুষদের জীবনযাত্রা, নারীশিক্ষা, মেয়েদের স্বনির্ভর দল, চিকুনগুনিয়া, শৌচাগার ইত্যাদি জনসচেতনতা বাড়ানো বিষয়ক বিশেষ আলোচনাও তাতে উঠে আসছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

Advertisement

আলোচনার পাশাপাশি উত্‌সবের দিনগুলি আনন্দমুখর করে তুলতে আয়োজন করা হয়েছে বাউল গান, ম্যাজিক শো, মানব পুতুল বা প্রাদেশিক নাচের অনুষ্ঠান। উত্‌সবের শেষ দিন পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি থাকছে গুণীজন সংবর্ধনা ও বিচিত্রানুষ্ঠান।

সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যক্ষ বনবিহারী জানা বলেন, “নিজেরাই চাঁদা তুলে প্রতি বছর এই উত্‌সবের আয়োজন করি। খেলাধুলা, সংস্কৃতির জগতে ছেলেমেয়েদের একটু এগিয়ে দিতে আমাদের এই পদক্ষেপ।” তবে তিনি এ-ও জানান, বিশাল এই উত্‌সবের আয়োজন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু একাধিক বার সরকারি সাহায্য চেয়েও তা মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement