খাবারে টান, অভুক্ত রইলেন অনেকে

মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, সব্জি, মাছ আর চাটনি। আয়োজন হয়েছিল ১৮ হাজার কর্মী-সমর্থকের জন্য। কিন্তু চলে এসেছিলেন অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। ফলে, শনিবার দিনের শেষে ক্যানিঙের গোলকুঠী মাঠে তৃণমূলের জেলা সম্মেলন থেকে অনেককেই ফিরতে হল না খেয়ে।

Advertisement

সামসুল হুদা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৩৮
Share:

মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, সব্জি, মাছ আর চাটনি। আয়োজন হয়েছিল ১৮ হাজার কর্মী-সমর্থকের জন্য। কিন্তু চলে এসেছিলেন অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।

Advertisement

ফলে, শনিবার দিনের শেষে ক্যানিঙের গোলকুঠী মাঠে তৃণমূলের জেলা সম্মেলন থেকে অনেককেই ফিরতে হল না খেয়ে। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। মাছ-ভাত শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি ডিম-ভাতেরও আয়োজন করে ফেলেন তড়িঘড়ি। কিন্তু তাতেও সামাল দিতে পারেননি। কোনও কোনও দলীয় কর্মী-সমর্থককে দেখা গেল মাঠের অদূরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া সেরে বাড়ির পথ ধরতে।

শোভনবাবু বলেন, ‘‘এতো লোক এসে যাবে ভাবতে পারিনি। আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি। খারাপ লাগছে।’’ তোড়জোড়টা চলছিল ক’দিন ধরেই। শোভনবাবু নিজে বারবার সভাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। সম্মেলনে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের কী খাওয়ানো হবে, তা-ও ঠিক করেন নিজেই। রান্নার জন্য আনা হয়েছিল কলকাতার নামী কেটারিং সংস্থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাড়তি কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ই শৃঙ্খলা ভাঙল। সকাল থেকেই িভড় জমতে শুরু করে। শুরুতেই শ্রোতাদের চেয়ার দখল হয়ে যাওয়ায় বেলার দিকে সাগর, নামখানা বা অন্যত্র থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

Advertisement

এক সময় ভিড়ের চাপে সম্মেলন-স্থলের লোহার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন ভাষণ দিচ্ছেন তৃণমুলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। বাইরে থেকে কর্মীরা ঢোকার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত গেট এবং ব্যারিকেড খুলে দেওয়া হয়। হুড়মুড়িয়ে ঢুকে মাটিতেই বসে পড়েন কর্মী-সমর্থক। রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায় মঞ্চে আসতেই ছবি তোলার জন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তত ক্ষণে কর্মী-সমর্থকদের খাবারের লাইন দীর্ঘতর হয়েছে। সভাস্থলে একজন ঝুরিভাজা বিক্রেতাকে দেখে মঞ্চের পিছনে ড়েকে নেন জয়ন্তবাবু। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন