গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিশু এবং এক নাবালিকার। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গা বাজারে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রূপকুমার মণ্ডল (৪) এবং মীরা মণ্ডল (১৪)। দু’জনেই একই পরিবারের সদস্য। বাড়ি নুননগরের গোবিন্দপুর গ্রামে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। তাঁদেরকে বারাসত এবং কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও জনতার বচসা বাধে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। পথ অবরোধ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এলাকায় যান। পরে মৃতের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল আট জনের একটি দল। তাঁরা দেগঙ্গায় এসেছিলেন। হাড়োয়ার দিকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন সকলে। সে সময়ে একটি ম্যাটাডোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যান, অটো রিকশা, মোটর বাইকে ধাক্কা মারে। সাত জনকে চাপা দেয় গাড়িটি। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় মেয়েটি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়িটি আটক হয়েছে।
অন্য একটি ঘটনায়, বালেশ্বর থেকে গাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল হুগলির চুঁচুড়ার এক বালক ও এক মহিলার। আহত হয়েছেন চার জন। রবিবার রাতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি কংক্রিটের থামে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। কুয়াশার জেরে ওই দুর্ঘটনা বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম অস্প্রি মহান্তি (১২) এবং রিনা সিংহ (৪৫)। অস্প্রি কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের সিংহিবাগান এলাকার বাসিন্দা। রিনাদেবীর বাড়ি অদূরে বিদ্যাভবন পল্লি ফার্স্ট লেনে। অস্প্রির বাবা কার্তিকবাবু রিনাদেবীদের গাড়ি চালান। রবিবার সকালে রিনাদেবীদের গাড়িতেই তাঁরা বালেশ্বরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।