ঘেরাওয়ের প্রতিবাদ, হাবরায় কলেজ বন্ধ রাখলেন অধ্যক্ষ

কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য টাকার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের ঘেরাও করে রেখেছিল কিছু পড়ুয়া। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল। তবে আগাম নোটিস না দেওয়ায় সকালে বহু পড়ুয়া এসে ফিরে গিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবরা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১৮
Share:

বন্ধ কলেজ।—নিজস্ব চিত্র।

কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য টাকার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের ঘেরাও করে রেখেছিল কিছু পড়ুয়া। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল। তবে আগাম নোটিস না দেওয়ায় সকালে বহু পড়ুয়া এসে ফিরে গিয়েছেন।

Advertisement

বনগাঁর বাসিন্দা দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, “কলেজ বন্ধ থাকবে আগে জানতাম না।” অন্য এক পড়ুয়ার কথায়, “অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা যেমন সমর্থন করি না, তেমনি হঠাৎ করে এ ভাবে কলেজ বন্ধ রাখাটাও মেনে নিতে পারছি না।”

ইন্দ্রমোহনবাবুর বক্তব্য, “দীর্ঘ ক্ষণ ঘেরাও করে আমাকে এবং অন্য শিক্ষকদের মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে কলেজ এক দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃহস্পতিবার কলেজ চালু থাকবে।” মঙ্গলবার রাতে কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যক্ষ। এ দিন বিকাশভবনে এসে শিক্ষা অধিকর্তাকে লিখিত ভাবে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন তিনি। ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদে এ ভাবে কি কলেজ বন্ধ রাখা যায়? শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কী পরিস্থিতিতে উনি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখতে হবে।”

Advertisement

কলেজ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ঘেরাওয়ের ঘটনায় ইন্ধন ছিল তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের। যদিও আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন সাধারণ পড়ুয়ারাই। এ দিন অধ্যক্ষ যে লিখিত অভিযোগ করেছেন, সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য নেই। যদিও কলেজে ঘেরাওয়ের প্রতিবাদে এ দিনই হাবরা স্টেশনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এসএফআই। সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য দীপাঞ্জন সাহা বলেন, “অধ্যক্ষ যে ছুটি ঘোষণা করেছেন, সেই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা অধ্যক্ষের পাশে দাঁড়াব। পড়ুয়াদেরও সেই অনুরোধ করব।” অন্য দিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি কালাম মণ্ডল বলেন, “অধ্যক্ষ কী বিষয় নিয়ে ছুটি দিয়েছেন আমরা জানি না। কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য যে পরিমাণ টাকা চাওয়ার কথা উনি বলছেন, তা ঠিক নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন