চ্যালেঞ্জ ট্রফির ফাইনালে বেঙ্গসরকার

বাঘ দেখতে এসে খেলা দেখেই মুগ্ধ। “এত দর্শক টেস্ট ক্রিকেটেও আসেন না। মানুষের এমন সমর্থন মেলে বলেই আমার দেশে সৌরভ, সচিনরা জন্ম নেন,” সোমবার সন্ধেয় সন্দেশখালি ২ ব্লকের জেলিয়াখালিতে সুন্দরবন চ্যালেঞ্জ ট্রফির ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করে এ কথা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১৬
Share:

ব্যাট হাতে তারকা। ছবি: নির্মল বসু।

বাঘ দেখতে এসে খেলা দেখেই মুগ্ধ।

Advertisement

“এত দর্শক টেস্ট ক্রিকেটেও আসেন না। মানুষের এমন সমর্থন মেলে বলেই আমার দেশে সৌরভ, সচিনরা জন্ম নেন,” সোমবার সন্ধেয় সন্দেশখালি ২ ব্লকের জেলিয়াখালিতে সুন্দরবন চ্যালেঞ্জ ট্রফির ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করে এ কথা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি, মাদ্রাসা শিক্ষা ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা-সহ বিশিষ্টরা।

এ দিন এই ফাইনালের উদ্বোধনে এসে কারামন্ত্রী হায়দার আলি সোফি এবং সাংসদ ইদ্রিস আলিকে উইকেটের পিছনে রেখে দীপেন্দুর বলে ছয় মারেন বেঙ্গসরকার। সেই দেখে হাততালিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত কয়েক হাজার দর্শক। আধঘণ্টার সুন্দরবন সফর সেরে ফিরে যাওয়ার সময়ে বেঙ্গসরকার বলেন, “ভেবেছিলাম সুন্দরবনে এসে বাঘের ডাক শুনতে পাব। কিন্তু এখানে ক্রিকেট পাগল মানুষ যে ভাবে আমাদের স্বাগত জানাল, তা দেখে আমি অভিভূত। বাঘ অন্য কোনও সময়েও দেখা যাবে। কিন্তু এতো মানুষ ক্রিকেট খেলার মাঠ ভরাতে পারেন, এ দৃশ্য হয়তো অন্য কোথাও গেলে দেখা হতো না।”

Advertisement

সুন্দরবন এলাকায় ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলার উন্নতিকল্পে গত ২২ বছর ধরে সন্দেশখালির জেলিয়াখালি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং জয়মাতারা সঙ্ঘ এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ বারে স্থানীয় বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ স্কুল মাঠে শুরু হয়েছিল ১৬টি দলের মধ্যে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।

গত ২৫ ডিসেম্বর শুরু দিন-রাতের এই প্রতিযোগিতায় রাঁচি, বিহার, মহারাষ্ট্র, কলকাতা এবং বসিরহাট-সহ সুন্দরবন এলাকার মোট ১৬টি দল যোগ দিয়েছে। সংস্থার পক্ষে শিবপ্রসাদ হাজরা বলেন, “বছরভর নানা সমাজসেবামূলক কাজের পাশাপাশি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে ফুটবল এবং ক্রিকেটের উন্নতিতে স্থানীয় এবং বাইরের খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক খেলার আয়োজন করা।” তিনি জানান, এ বারে ১৫ ওভারের এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় জয়ী এবং রানার আপ দলকে যথাক্রমে এক লক্ষ ও আশি হাজার টাকা এবং ট্রফি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। খেলার ফাইনালে ওঠে মেদিনীপুর ভাইভাই সঙ্ঘ ও ঘটকপুকুরের গোবিন্দপুর ইমরান একাদশ। সব উইকেট খুইয়ে ভাইভাই সঙ্ঘের ১২৩ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ওই রান তুলে জয়ী হয় ইমরান একাদশ। বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কারের টাকা এবং ট্রফি তুলে দেন ইদ্রিস। ক্লাবহাউস, দর্শকাসন সমেত খেলার আয়োজনের ব্যাপকতা, মানুষের কাছে এর জনপ্রিয়তায় অভিভূত সাংসদ ওই মাঠে স্টেডিয়াম করার জন্য আয়োজক কমিটিকে সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কাজ শুরু হলে আরও ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি এ দিন তিনি দেন। অন্য দিকে সময় এবং খরচসাধ্য হলেও কলাগাছি নদীর উপরে জেলিয়াখালি এবং রামপুর সংযোগকারী সেতু তৈরির ব্যাপারেও তিনি ভেবে দেখবেন বলে জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন