ছেলের শ্বশুরবাড়িতে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বাবার

ছেলের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন বাবা। সেখানেই তাঁর দেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় মিলল। অভিযোগ উঠল খুনের। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তির বেয়াই-বেয়ানকে। পুলিশ জানায়, আপাতত একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া অবধি খুন না আত্মহত্যা, তা বলা যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৪ ০১:৩১
Share:

ছেলের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন বাবা। সেখানেই তাঁর দেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় মিলল। অভিযোগ উঠল খুনের। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তির বেয়াই-বেয়ানকে। পুলিশ জানায়, আপাতত একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া অবধি খুন না আত্মহত্যা, তা বলা যাবে না।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষে বাদুড়িয়ার মলয়াপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ায় ছেলে ছোটনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন আব্দুল গনি মণ্ডল (৪৭)। তাঁর বাড়ি দেগঙ্গার মাটিকুমড়ো গ্রামে। রাত ১১টা নাগাদ ছোটনের শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা ও শ্বশুর সদরুল প্রতিবেশীদের ডেকে জানান, খাট থেকে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। গ্রামের এক চিকিৎসককেও খবর দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা তৈরি হওয়ার আগেই ওই চিকিৎসক জানান, মৃত্যু হয়েছে ছোটনের বাবার। পুলিশ এলে আবার মেহেরুন্নেছারা জানান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন গনি। গনির দাদা সহিদুল ইসলাম বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। তাঁর দাবি, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ভাইকে। সহিদুল জানান, ওই রাতে প্রথমে তাঁদের ফোনে বলা হয় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ভাইয়ের। পরে বলা হয়, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সহিদুলের অভিযোগের ভিত্তিতে মেহেরুন্নেছা ও স্বামী সদরুলকে ধরা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেহেরুন্নেছার সঙ্গে গনির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পরে মেহেরুন্নেছার সৎ মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় গনির ছেলের। সেই সূত্রে মাঝেমধ্যেই ছেলের শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন গনি।

মেহেরুন্নেছা ও তাঁর স্বামীর বক্তব্য, “ওঁর যাতায়াত নিয়ে সংসারে অশান্তি হত। তবে খুন করিনি। উনি বলছিলেন, অশান্তির জেরে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। রাতে খাওয়ার পরে পাশের ঘরে শুতে গিয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন