উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিন মাইক বাজিয়ে জলসা শুরু হয়েছিল। সেখানেই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে জনতার গোলমাল বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা আসেন। জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী। মারধরে মাথা ফেটেছে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারেরও। তবে বিনা অনুমতিতে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পেরেছে পুলিশ। শুক্রবার হাসনাবাদের জুগিয়া দাসপাড়ায় এই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হাসনাবাদ এবং টাকি স্টেশনের মধ্যে রেললাইনের পাশে জুগিয়া দাসপাড়ায় কালীপুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল। কয়েকশো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। একে অল্প জায়গা, তার উপরে কলকাতা থেকে আসা শিল্পীদের দেখতে ভিড় বাড়তে থাকে। অত্যুৎসাহী কিছু জনতা গ্রিনরুমের ধারে উঁকিঝুঁকি মারছিলেন। তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বচসা বেধে যায়। শুরু হয় হাতাহাতি। খানিক ক্ষণের মধ্যেই বাঁশ-লাঠি নিয়ে মারপিটে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রেললাইনের পাশে এই ঘটনায় অনুষ্ঠান দেখতে আসা মহিলা-শিশুদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোট পান অনেকে। মারপিটের জেরেও জখম হন কেউ কেউ।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা গেলে তাদের উপরে চড়াও হয় এক দল লোক। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে কনস্টেবল রামকৃষ্ণ পরামানিক এবং লাল্টু মণ্ডল প্রহৃত হন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে হাসনাবাদ থানার ওসি গোপাল বিশ্বাস বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বিনা অনুমতিতে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্যপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে আসেন বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইসি গৌতম মিত্র। জনতাকে বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আহত দুই পুলিশকর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের দাবি, বরাবরই এই দিনে অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। এ বার অতি উৎসাহী কয়েক জনের জন্য সব ভন্ডুল হয়ে গেল।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে ঘুটিয়ারিশরিফের কালাবড়ুর কাছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শাহ আলম গাজি (২০)। বাড়ি দক্ষিণ মাকালতলায়। পুলিশ জানায়, বিকেলে শাহ আলম বন্ধু রবিউল শেখকে নিয়ে মোটরবাইকে বারুইপুর থেকে ঘুটিয়ারিশরিফে ফিরছিলেন। এক মহিলা হঠাৎই সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে গিয়ে ধাক্কা মারে বাইকটি। ছিটকে পড়েন দু’জন। তাঁদের পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান শাহ আলম।