বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ আজ, মঙ্গলবার সভা করতে আসছেন বর্ধমানে। সেই সভায় তৃণমূলের বড় মাপের কোনও নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যোগ দিতে পারে বলে গত কয়েক দিন ধরেই দাবি করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও জোর জল্পনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার দলের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করলেন, বিজেপি কোটি কোটি টাকা নিয়ে তৃণমূল নেতাদের লোভ দেখাচ্ছে।
এ দিন গোবরডাঙায় বিধান স্মৃতি সঙ্ঘের মাঠে আয়োজিত দলের একটি কর্মিসভায় জ্যোতিপ্রিয়বাবু এই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “কয়েকশো কোটি টাকা নিয়ে কলকাতায় বিজেপি ছেলে ধরার জন্য বসে আছে। টাকা দিয়ে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। তবে এ ভাবে তৃণমূল নেতাদের কাউকে কেনা যাবে না। অতীতে দেখা গিয়েছে, পার্লামেন্টে বিজেপি টাকা দিয়ে সাংসদ কিনছে। ওদের ওই চরিত্র বাংলায় চলবে না।” তবে কী দলের প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ও তার ছেলে সুব্রতকেও বিজেপি প্রলোভন দেখিয়েই দলে নিয়েছে? মন্ত্রীর জবাব, “মঞ্জুলের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ভবিষ্যতে প্রমাণ হয়ে যাবে, মঞ্জুল টাকা নিয়েছে না নেয়নি।” যা শুনে বিজেপির জেলা সভাপতি কামদেব দত্ত বলেন, “বিজেপিকে টাকা দিয়ে তৃণমূলের নেতাদের কিনতে হয় না। ওরা বরং টাকা দিয়ে কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতাদের দলে নিয়েছে। আমাদের তৃণমূলের মতো অনৈতিক উপায়ে রোজগারের টাকা নেই। নরেন্দ্র মোদীর আদর্শেই ওদের নেতারা দলে আসতে চাইছেন।”
অন্য দিকে, সোমবার দুপুরে বনগাঁ শহরে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মোত্সব উপলক্ষে সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের বনগাঁ মহকুমা কমিটির উদ্যোগে নগর পরিক্রমা বের হয়। বড়মা তার সূচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন তাঁর বড় পুত্রবধূ মমতা ঠাকুর। গত লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী কেডি বিশ্বাসও ছিলেন। তবে দেখা যায়নি সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বা তাঁর ছেলে সুব্রতকে।