গুমা স্টেশন থেকে বাদুড়িয়া হয়ে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত পর্যন্ত ট্রেনলাইনের দাবিতে বসিরহাটের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল নাগরিক কমিটি। তার আগে বসিরহাটে এক সাংবাদিক বৈঠক করে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই লাইন তৈরি হলে কী কী সুবিধা হবে।
ইতিমধ্যে অবশ্য এ বিষয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও দাবি পেশ করা হয়েছে। তবে সর্বদল ভাবে কমিটি গড়া হলেও এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে উদ্যক্তাদের পক্ষে বলা হয়, বিশেষ কাজের জন্য হয় তো তৃণমূলের কেউ আসতে পারেননি।
কমিটির সভাপতি সুকুমার দে জানান, জেলার ২৭টি পুরসভার মধ্যে একমাত্র বাদুড়িয়া পুরসভার মধ্যে দিয়ে কোনও রেল লাইন যায়নি। ফলে বাদুড়িয়ার মানুষকে ট্রেন ধরতে অন্তত ১৫ কিলোমিটার যেতে হয়।
হাবরার গুমা স্টেশন থেকে বাদুড়িয়া হয়ে ঘোজাডাঙা পর্যন্ত রেললাইন হলে বহু নিত্যযাত্রী, ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন। বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর ও বসিরহাটের চাষিদেরও বেশি টাকা ভাড়া গুণে ফসল কলকাতার বাজারে নিয়ে যেতে হবে না। সীমান্ত বাণিজ্যেরও বড় রকম সুবিধা হবে। তিনি বলেন, “এ সব কথা ভেবেই গত বছর সর্বদল ভাবে বৈঠক ডেকে ফোরাম গড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।”
কমিটির তরফে অনিমেষ মুখোপাধ্যায় এবং অসিত মজুমদার বলেন, “ট্রেনের দাবিতে আমরা ইতিমধ্যে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সামিল করেছি। তারা এসএমএস এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন শুরু করে দিয়েছে। এ ছাড়াও, রেলের দাবিতে জনজাগরণের জন্য দলমত নির্বিশেষে মিটিং এবং মিছিল অব্যাহত থাকবে।’’
বসিরহাট এবং সংগ্রামপুরের মধ্যে ইছামতী নদীর উপর সেতুর দাবিতে এক সময়ে স্থানীয় স্কুলের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী চিঠি লিখেছিল দেশের তত্কালীন যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। এরপরেই সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন স্বরূপনগর পর্যন্ত ট্রেনলাইন পাতা হবে বলে ঘোষণার পরে জমি পর্যবেক্ষণের কাজও শুরু হয়েছিল। এখন দেখার, কবে হয় গুমা থেকে বাদুড়িয়া হয়ে ঘোজাডাঙা পর্যন্ত রেললাইন।