তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা আনলেন গোসাবা ব্লকের গোসাবা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই। সেই অনাস্থায় আবার আরএসপি-র সমর্থনও মিলেছে।
সোমবার গোসাবার বিডিও-র কাছে ওই পঞ্চায়েতে প্রধান বিশ্বজিৎ শীটের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার, উন্নয়নমূলক কাজে অনীহা, সাধারণ মানুষকে কোনও পরিষেবা না দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ আনেন তৃণমূলেরই ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য। আরএসপি-র পঞ্চায়েত সদস্যেরা এই অনাস্থাকে সমর্থন করেন।
এ প্রসঙ্গে গোসাবার বিডিও সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে ওই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন পঞ্চায়েতেরই ৮ জন সদস্য। সব দিক খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই ভোটাভুটির দিন ঘোষণা হবে।”
ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫টি। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১১টি এবং আরএসপির দখলে ৪টি। সংখ্যা গরিষ্ঠতার কারণে প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু তাকে প্রধান হিসেবে নির্বাচন করার পরেও কোনও কাজ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ পঞ্চায়েতের অন্যন্য সদস্যদের। এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিকাশ নস্কর বলেন, “আমরা মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। এলাকার উন্নয়ন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের দলীয় প্রধান নির্বিকার। বার বার বলার পরেও আমাদের কথার কোনও গুরুত্ব দেননি। তাই তার বিরুদ্ধে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনাস্থা আনা হয়েছে।” আরএসপি-র পঞ্চায়েত সদস্য অসীম সর্দার বলেন, “যাঁরা মানুষের জন্য এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে তাঁদেরই সমর্থন করব।”
বিশ্বজিৎবাবু অবশ্য বলেন, “আমি এখনও হাতে কোনও কাগজপত্র পাইনি। আমার বিরুদ্ধে কেউ এমন অভিযোগ করে থাকলে, সাধারণই মানুষ তার জবাব দেবে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা সত্যিই দলের লোকেরাই দলের লোকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। ওই এলাকার বিধায়ক, অঞ্চল সভাপতি ও অঞ্চল প্রধানের সঙ্গে এ নিয়ে আমার কথা হয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য বিধায়ককেও জানিয়েছি। আমারও নজর রয়েছে।”