আলোর অভাবে এ ভাবেই চলছে পড়াশোনা।—নিজস্ব চিত্র।
ট্রান্সফর্মার বিকল হওয়ায় দু’সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই দেগঙ্গা ব্লকের দেওয়ান আটি গ্রাম। গ্রামের মানুষের দাবি, বার বার দফতরের আধিকারিকদের জানিয়েও সমস্যা মেটেনি। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যদিও বেড়াচাঁপা বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ট্রান্সফর্মার খারাপ হওয়া নিয়ে কেউ কিছু জানায়নি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে দফতরের তরফে।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ব্লকের ঝিকড়া ১ পঞ্চায়েতের দেওয়ান আটি গ্রামে বিদ্যুতের গ্রাহক শ’দুয়েক পরিবার। গ্রামের লোকের দাবি, গত ২ জুলাই গ্রামের একমাত্র ট্রান্সফর্মারটি বিকল হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছিল। একে প্রবল গরম, তার উপরে দিনের পর দিন আলো-পাখা না থাকায় খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দিনভর রোজা চলছে। মসজিদে গিয়েও হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে না।
আলো না থাকায় দুষ্কৃতীদের উপদ্রব বাড়ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। আলোর অভাবে টেমি জ্বেলে পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। গ্রামের দু’টি কাপড়ের কারখানার কাজও কার্যত বন্ধ। সামনেই ঈদ উৎসব। এ সময়ে নতুন পোশাকের চাহিদা থাকে। এই পরিস্থিতিতে দর্জিদেরও সমস্যা হচ্ছে।
সাইমা খাতুন, হাবিবুল্লা দেওয়ানরা বলেন, ‘‘দিনভর উপবাসের পরে সন্ধ্যায় পড়াশোনা করার সময়ে হাত পাখা দিয়ে মশা তাড়াতে হচ্ছে। লম্ফর আলোয় দিনের পর দিন পড়াশোনা করতে হচ্ছে।”আজিবর দেওয়ান, ওয়াহাব দেওয়ানদের বক্তব্য, ‘‘মোবাইলে জানিয়ে কাজ না হওয়ায় গত শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বলা হয়, বেলা সাড়ে ১২টা বেজে যাওয়ায় কোনও স্মারকলিপি নেওয়া যাবে না।”
বেড়াচাঁপা বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক বিপ্লব পরামানিক অবশ্য বলেন, ‘‘ট্রান্সফর্মার খারাপ, সে কথা কেউ আগে আমাকে জানায়নি। সেটি দ্রুত বদলে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।”