নাবালিকাকে অপহরণ করে আমদাবাদে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণে অভিযুক্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুখ খুললে মেয়েটির পরিবারকে এলাকাছাড়া করা এবং খুনের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্তের বাবা, যিনি এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা ফাঁড়িতে বাকিবিল্লা মণ্ডল নামে ওই যুবক ও তার বাবা কালাম মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়েটি ও তার পরিবার। শুক্রবার হাবরা হাসপাতালে ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। পুলিশ দাবি করেছে, অভিযুক্তেরা পলাতক।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাকিবিল্লার বিরুদ্ধে ওই নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বাবা কালামের বিরুদ্ধে নাবালিকা ও তার পরিবারকে খুনের হুমকির দেওয়ার পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” মেয়েটিকে আপাতত রাখা হয়েছে একটি হোমে। জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মেয়েটির সঙ্গে পুরনো পরিচয় ছিল বাকিবিল্লার।
নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই বছর ষোলোর মেয়েটি। তার বাবা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। চার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকেন হাবরায়। ওই কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, গত ১২ নভেম্বর সকালে মছলন্দপুরে কেনাকাটা করতে গিয়েছিল সে। ফেরার পথে অটোস্ট্যান্ডে দেখা হয় বাকিবিল্লার সঙ্গে। দোকান থেকে বিস্কুট কিনে খেতে দেয় ওই যুবক। পরে একটি ছোট ভাড়ার গাড়িতে তুলে দেয় মেয়েটিকে। কিশোরীর দাবি, গাড়িতে সে জ্ঞান হারায়। পরে বুঝতে পারে, তাকে আনা হয়েছে ভিন্-রাজ্যের যৌনপল্লিতে। মেয়েটির অভিযোগ, তাকে সেখানে তিন দিন ধরে একাধিক বার ধর্ষণ করে বাকিবিল্লা। বাড়িতে যোগাযোগের চেষ্টা করলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। মেয়েটি অবশ্য লুকিয়ে যৌনপল্লির এক তরুণীর সাহায্যে ফোন করে খবর দেয় বাড়িতে। মেয়েটির বাবা আমদাবাদে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে ফেরেন। কিন্তু পরিবারটির দাবি, মেয়ে ফিরে আসার পরে যাতায়াতের পথে কালাম ও তাঁর ছেলে তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন।