তৃণমূল-বিজেপির ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হলেন ১০ জন। ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁর বামনপুকুর কলেজে। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজটিতে বিএ প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য ফর্ম ফিলাপ হচ্ছিল। সে সময়ে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি বাধে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের অভিযোগ, বিজেপি বহিরাগতদের নিয়ে এসে ইউনিয়ন রুমে ভাঙচুর চালিয়েছে। তাঁদের সমর্থকদের মারধর করেছে। পাঁচ জনকে মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বিজেপির সমর্থক ছাত্রদের পাল্টা দাবি, লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে তাঁদের সমর্থকদের মারধর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আহত এক ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্য একটি ঘটনায়, শ্রীচৈতন্য কলেজে কাউন্সেলিং ও ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন একদল ছাত্র কলেজের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাল। ঢিল মেরে কিছু জানলার কাচ ভাঙে তারা। হাবরা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি সামাল দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়।
কলেজ সূত্রের খবর, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কিছু ছেলে অধ্যক্ষের ঘরে জোর করে ঢুকতে চায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় ভাঙচুর। পুলিশের কাছে অবশ্য কোনও অভিযোগ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল বলেন, “কোন দল থেকে এই কাজ করেছে, তা বুঝতে পারছি না। তাই পুলিশে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।” এসএফআইয়ের অভিযোগ, কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল টিএমসিপি-র লোকজন। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি কালাম মণ্ডল বলেন, “একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে ওই কলেজের অধ্যক্ষের মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু এখন তা মিটে গিয়েছে।”