মিছিলে লোক জড়ো করার অপরাধে এক বিজেপি কর্মীকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কাকদ্বীপের ৫ নম্বর হাট এলাকার মধুসূদনপুরের ওই বিজেপি কর্মী চিরঞ্জিত পাইকের অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবাকেও শাসিয়ে আসা হয়েছে। বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কাকদ্বীপ থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে বাজার করে ফেরার পথে দু’টি মোটর বাইকে কয়েক জন যুবক এসে চিরঞ্জিতবাবুকে গালিগালাজ শুরু করে। চিরঞ্জিতবাবুর কথায়, “আমাকে ওরা বলে, খুব তো মিছিলে লোক জোগাড় করেছিলি? দাঁড়া মজা দেখাচ্ছি। তারপর তুলে নিয়ে তৃণমূল অঞ্চল অফিসে যায়। সেখানে মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অবনী রায়ের মদতেই এ সব করা হয়েছে।
থানায় অবনীবাবু-সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এলাকা থেকে ফোন পেয়ে থানায় যান বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশ চিরঞ্জিতকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
বিজেপির কাকদ্বীপ মণ্ডল সভাপতি কৌশিক দাসের অভিযোগ, “এ রকম আক্রমণে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বিজেপি সমর্থকদের উপরে এ ভাবে লাগাতার হামলা চলছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে বিজেপির উপরে তৃণমূলের আক্রমণ যত বাড়বে, সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের গণ আন্দোলনও তত গতি পাবে।”
অবনীবাবু অবশ্য দাবি করেন, “একটি মোটর বাইক চুরির ঘটনা নিয়ে চিরঞ্জিতের সঙ্গে আমার ভাইপো সঞ্জয় রায়ের ঝামেলা চলছিল। এই ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগিয়ে মিথ্যে অভিযোগ ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।” ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।