বিজেপি সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বিজেপি সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ চার জনকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাংদের দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের সূর্যনগর মাঝিপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৩৯
Share:

অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বিজেপি সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ চার জনকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাংদের দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের সূর্যনগর মাঝিপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসনা মাঝি নামে ওই গ্রামের বিজেপির এক সক্রিয় কর্মীর নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল গাড়ি ভাড়া করে রবিবার কলকাতা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির সভায় গিয়েছিলেন। তাঁদের উপরে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা পুলিশকে আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। সেই মতো পুলিশি পাহারায় সকলকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।

তখনই তৃণমূলের লোকজন ঈশ্বরীপুর মোড়ে দাঁড়িয়ে জটলা করেছিল। অভিযোগ, রাত ৮টা নাগাদ বিজেপি সমর্থক জয়দেব হাতির বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল-বাহিনী। জয়দেববাবু-সহ আশপাশের কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জয়দেব হাতি, দেবনাথ হাতি, সোমেশ বাগ, তপতী হাতিরা বলেন, “বিজেপির সভায় যাওয়ার জন্য ওদের কাছে আমাদের মার খেতে হল। বিজেপিকে সমর্থন করি বলে এলাকায় ওরা আমাদের বিষ নজরে দেখে।”

Advertisement

সোমবার বিকেলে আহতদের বাড়ি যান রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি বাদশা আলম, জেলার সাধারণ সম্পাদক পিন্টু দাস, জেলার সহ-সভাপতি নির্মল দাস, সারা ভারত মহিলা মোর্চা সম্পাদিকা মৌসুমী ভট্টাচার্যরা। বিজেপির প্রতিনিধি দলটি কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। এরপর থানাতে গিয়ে তাঁরা বিজেপি সমর্থকদের নিরাপত্তার আবেদন জানান। বাদশা আলম বলেন, “আমাদের দলের লোকজনকে যারা মারধর করেছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসাতে হবে। পুলিশ যদি পুলিশের কাজ না করে তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন