ধৃত বিজন হাওলাদার।
বছর এগারোর প্রতিবেশী বালিকাকে নিজের বাড়িতে ডেকে এনে গত দেড় মাসে একাধিকবার ধর্ষণে অভিযুক্ত ৭৮ বছরের বৃদ্ধকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে গাইঘাটা থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, স্থানীয় ঠাকুরনগর স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা থেকে গাইঘাটার শিমুলপুরের চৌরঙ্গী এলাকার ওই বাসিন্দাকে ধরেছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বিজন হাওলাদার নামে অভিযুক্ত বৃদ্ধ সপরিবার এলাকা ছেড়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিজন জামসেদপুরে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মতো পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করে। কিন্তু এর মধ্যেই মঙ্গলবার গোপনে এলাকায় ফেরার সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। বিজনের গ্রেফতারের খবরে গ্রামবাসীরা খুশি। এর আগেও গ্রামের একাধিক নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজনের কড়া সাজা চান তাঁরা। এ দিন বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ওই বৃদ্ধকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ১৪ নভেম্বর রাতে এলাকার কয়েকশো মহিলা বিজনের বাড়িতে চড়াও হন। বাড়িতে ভাঙচুর চলে। তার আগেই অবশ্য এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত।
শিমুলপুরের বাসিন্দা পঞ্চম শ্রেণির ওই বালিকা পিতৃহীন। মনোহারি জিনিস ফেরি করে সংসার চালান বলে মেয়েকে বেশির ভাগ সময়ে একা রেখেই তার মাকে বেরিয়ে পড়তে হয়। বালিকার পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, মাস দেড়েক আগে স্কুলে যাওয়ার আগে পাশের দাদু বিজনের বাড়িতে সে ঘড়ি দেখতে যায়। সে সময়ে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে বিজন তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার কথা জানাজানি হলে তাকে ও তার মাকে মারধরের হুমকিও দেয়। সেই শুরু। এর পর সুযোগ পেলেই বাড়িতে নিয়ে এসে মেয়েটির উপরে অত্যাচার চালাত ওই বৃদ্ধ। ১৩ নভেম্বর মেয়েটি সব কথা খুলে বলে। ওই দিনই গাইঘাটা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। এলাকার মহিলারা জানান, বছর কুড়ি আগে ওই বৃদ্ধ এলাকার পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে। সকলের সামনে ক্ষমা চাওয়ায় গণপিটুনি দিয়ে আর আর্থিক জরিমানা করে এলাকার মানুষ তাকে ছেড়ে দেন। তাঁদের দাবি কয়েক বছর আগেও আরও এক বালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বিজন। বাধা দেওয়ায় তার গলায় অস্ত্রের কোপও মেরেছিল সে। তাই এই বার গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে আর কোনও ভাবেই গ্রামে ঢুকতে দিতে রাজি নন।
বালিকার যৌন নিগ্রহ। বালিকার উপরে যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত প্রতিবেশীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়ার বকজুড়ি পঞ্চায়েতের খাড়ুবালা গ্রামে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অরবিন্দ বিশ্বাস। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই দিনই বালিকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ। মঙ্গলবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে বিচারক তার জবানবন্দি নেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ির কাছে খেলা করছিল বছর নয়েকের ওই বালিকা। সে সময়ে অরবিন্দ তার বাড়িতে টিভি দেখার জন্য বালিকাকে ডাকে। ফাঁকা বাড়িতে সুযোগ বুঝে মেয়েটির উপরে শারীরিক নির্যাতন চালায়। বালিকার চিৎকারে পালায় সে।